‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরব উপপ্রধান

স্বজনপোষনের স্বার্থে কাউকে কিছু না জানিয়ে কাজ বণ্টনের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন উপপ্রধান। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে পঞ্চায়েতে অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে বিডিও-র কাছে নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল পরিচালিত সাঁইথিয়ার মাঠপলশা পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য এ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিডিও বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর ওই পঞ্চায়েতে চতুর্দশ অর্থ কমিশন তহবিলের প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা খরচে কয়েকটি রাস্তা, নিকাশি নালা তৈরি করা-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রস্তাব গৃহীত হয়। সেই কাজের জন্য ইচ্ছুক ঠিকাদারদের পঞ্চায়েত থেকে টেন্ডার ফর্ম সংগ্রহ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর ফর্ম কিনে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার দিন নির্ধারিত হয়। ওই দিনই পঞ্চায়েতের অর্থ উপ-সমিতির উপস্থিতিতে খাম খুলে সর্বোচ্চ ছাড় দাতা (কে কত শতংশ কম টাকায় কাজ করতে পারেন) ঠিকাদারকে কাজের বরাত দেওয়ার কথা।

পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, অর্থ উপ-সমিতিতে রয়েছেন প্রধান, উপপ্রধান, ৪টি উপসমিতির সঞ্চালক তথা ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, নির্মাণ সহায়ক, সচিব। ওই উপ-সমিতির অন্যতম সদস্য তথা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ইউনুস জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শামিল হওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের নোটিস বোর্ড, ব্লক অফিস, এসডিও অফিস, ডাকঘর ও বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বিজ্ঞপ্তি টাঙানোর পাশাপাশি স্থানীয় দু’টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

তাঁর অভিযোগ, কিন্তু কোথাও ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। স্বজনপোষনের স্বার্থে কাউকে কিছু না জানিয়ে কাজ বণ্টনের চেষ্টা চলছে। তাঁর আশঙ্কা, পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্যরা যাতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য টেন্ডার ফর্ম তোলা এবং জমা দেওয়ার দিন দুষ্কৃতীদের দিয়ে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করা হতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই বিডিও-র কাছে ওই দু’দিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছি।’’

পঞ্চায়েত প্রধান অভিজিৎ সাহা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হয় বলে আমার জানা নেই। এলাকার অধিকাংশ জনবহুল জায়গায় এ সংক্রান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে। স্বজনপোষন বা অশান্তির অভিযোগও ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত আক্রোশে কেউ মিথ্যা অভিযোগ করলে কী বলা যেতে পারে?’’ সাঁইথিয়ার বিডিও স্বাতী দত্তমুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হয় কিনা বলতে পারব না। অন্য জায়গায় নোটিস দেওয়া হয়েছিল বলে পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয়েছে। তবে অশান্তির আশঙ্কার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement