প্রতীকী ছবি।
জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও নিশ্চিন্তে নেই স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, এ বার জেলার ডেঙ্গি-মানচিত্রে যুক্ত হয়েছে নতুন এলাকা।
পরিসংখ্যান বলছে, পুরুলিয়ায় গত বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল একশোর কাছাকাছি। এ বার সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৭। গত বছর এই সময় পর্যন্ত পুরুলিয়া শহরের ১ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। পরে লাগোয়া কয়েকটি ওয়ার্ডেও ডেঙ্গি ছড়ায়। এ বার সেই সংখ্যা কমে ১১ হওয়ায় স্বস্তি এসেছে স্বাস্থ্য দফতরে। তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে কয়েকটি এলাকা। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গুরুদাস পাত্র বলেন, ‘‘এ বার পুরুলিয়া শহরের এমন কয়েকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে, যেখানে গতবার কেউ আক্রান্ত হননি। পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নজরদারি চালাচ্ছি।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, এ বার ১, ৫, ৬, ৯, ১০,১৬ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। গত বছর ৬, ৯ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির কোনও প্রভাব ছিল না। এই ওয়ার্ডগুলি জেলা ডেঙ্গি-মানচিত্রে নতুন সংযোজন। আবার গতবার ৩, ১৭ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিললেও এ বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডগুলির কোনও বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। সেটাও স্বস্তির।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মহামারি বিশেষজ্ঞ সতীনাথ ভুঁইয়া বলেন, ‘‘শহরে যে এলাকায় আক্রান্তদের হদিশ মিলেছে, শুধু সেই এলাকাগুলিতেই নয়, নজরদারি চলছে গোটা ওয়ার্ডেই।’’
গ্রাম ও মফস্সলেও ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ব্লকে যাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রায় সকলেই বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বা জ্বর নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্তদের বাড়ির আশপাশের অন্তত ৫০টি বাড়িতে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন কি না, তা নজরে রাখা হয়েছে।