সিউড়ির একটি দোকানে পুজোর বাজার। নিজস্ব চিত্র
জিন্স, স্কার্ট, শ্রাগ— এ সব তো বহু দিন ধরেই জায়গা খুঁজে নিয়েছে আলমারিতে। সালোয়ার, কুর্তির সঙ্গে থেকে কলেজ— সর্বত্রই এ সব দেদার পরছেন তরুণীরা। এ বছর পুজোর আগেও সেই চিত্রের কোনও পরিবর্তন হয়নি। পশ্চিমি পোশাকের পাশাপাশি দেদারে বিকোচ্ছে সাবেক পোশাকও।
পুজোর আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে জোর কদমে। সেপ্টেম্বর মাস শুরু হতেই শহরের শপিং মল বা বড়-ছোট দোকানে ভিড় করতে শুরু করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানান, একদিকে যেমন পশ্চিমি পোশাকের চাহিদা রয়েছে৷ তেমনই চাহিদা রয়েছে সাবেক চিরাচরিত জামা কাপড়েরও। বিক্রেতাদের থেকে জানা গিয়েছে, এ বছর মেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সালোয়ার স্যুট, গাউনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
এ ছাড়া টপ, জিনস তো রয়েইছে। পাশাপাশি পুজো সংক্রান্ত বিভিন্ন ‘ক্যাপশন’ দেওয়া টপের চাহিদাও রয়েছে ভাল রকম। ছেলেদের পোশাকে সেই অর্থে কোনও পরিবর্তন নেই বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যেমন প্রতি বছর থাকে, তেমনই বিভিন্ন ধরনের জিনস, টি-শার্ট, শার্টের চাহিদা সব থেকে বেশি।
তবে পশ্চিমি পোশাকের ‘দাপট’ থাকলেও তা সাবেক পোশাকের উপর সেই অর্থে কোনও প্রভাব ফেলেনি। তরুণীদের শাড়ি কেনার প্রবণতাও রয়েছে ব্যাপক। ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘‘পুজোর দিনে টপ, সালোয়ারেক পাশাপাশি শাড়ির প্রতি বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের বিশেষ আকর্ষণ থাকে। এ ছাড়া পুজোর অষ্টমীতে শাড়ি পরার রীতি রয়েছে কিশোরী-তরুণীদের মধ্যে।’’ এ বছর সাবেক পোশাকে চুড়িদার, শাড়ির মধ্যে ঢাকাই মসলিন, তাঁতের ঢাকাই, কাতান সিল্ক, তসর সিল্ক, তসর গিচা-সহ নানান ধরনের সিল্কের শাড়ির চাহিদা রয়েছে। তবে সবচেয়ে ভাল চাহিদা রয়েছে ঢাকাই মসলিনের।
ছেলেদের সাবেক পোশাকের মধ্যে ধুতি, পাঞ্জাবি, পাজামারও ভাল চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে দুর্গার মুখ আঁকা বা পুজো সংক্রান্ত লেখা বা আঁকা পাঞ্জাবির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ নিয়ে সিউড়ি একটি নামী দোকানের মালিক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘এ মাসের প্রথম থেকেই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’’ একই কথা বলছেন সিউড়ির একটি নামী মলের পক্ষ থেকে বিট্টু চৌহান। তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমি পোশাকের পাশাপাশি সাবেক পোশাকেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’’