সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েতের বাগডোলা মোড় থেকে হেরুকা হয়ে মহম্মদবাজারের পুরাতন গ্রাম যাওয়ার রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে মেঠো রাস্তাটিতে পিচে পড়ে। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত রাস্তাটিতে আর কোনও রকম সংস্কার করা হয়নি। ফলে গোটা রাস্তাতেই অজস্ব খানাখন্দ তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিপজ্জনক ভাবে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তা সারানোর দাবি জানিয়ে আসলেও কোনও লাভ হয়নি। অথচ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল এলাকার ১৫-২০টি গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাঁইথিয়া-মহম্মদবাজার রাস্তার উপর বাগডোলা মোড়। এই মোড়েই দেড়িয়াপুর পঞ্চায়েতের কার্যালয়। বাগডোলা মোড়ে থেকে উত্তরে আদিবাসী পাড়া, তিলপাড়া, সাহাপুকুর, বাগডোলা, শ্রীরামপুর, সাহানগর, হেরুকা হয়ে রাস্তাটি একেবারে মহম্মদবাজারের পুরাতন গ্রাম চলে গিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের দাবি, এই রাস্তা দিয়েই এলাকার ১৫-২০টি গ্রামের মানুষ বাগডোলা মোড়ে গিয়ে বাস ধরেন। কিন্তু, দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তাটির অবস্থা ভীষণ খারাপ।
বাগডোলার বাচ্চু পাল, তিলপুকুরের নুর আলি, বাবু শেখ, সাহানগরের সমীর শেখ, আদিবাসী পাড়ার মঙ্গল হাঁসদা, রাবন টুডুরা বলেন, ‘‘রাস্তাটি আগে মোড়ামের ছিল। প্রায় প্রতি বর্ষায় রাস্তাটি ভেঙে যেত। শেষ পর্যন্ত এলাকার লোকেদের দাবি মেনে বেশ কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় বাগডোলা মোড় থেকে হেরুকা হয়ে মহম্মদবাজারের পুরাতন গ্রাম পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা পিচের হয়।’’ পিচের রাস্তা হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে মাঝে মধ্যেই মালবোঝাই বড় বড় গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাঁদের দাবি, ‘‘দীর্ঘ দিন থেকে কোনও রকম সংস্কার না হওয়ার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল, রিকশা মোটরবাইক দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দায় হয়ে উঠেছে। কিন্তু, প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে ওই রাস্তা দিয়েই স্কুলপড়ুয়া, অফিসযাত্রী থেকে সবাইকে যাতায়াত করতে হয়।’’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী হাঁসদার দাবি, ওই রাস্তা ঠিক করার ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুজিত সাহা বলেন, ‘‘বিভিন্ন জয়গায় রাস্তা সারানোর কাজ চলছে। ওই রাস্তাটি দেখে ব্যবস্থা নেব।’’