ঘর ছাড়া বিরোধী দলের কর্মীদের ঘরে ফেরানোর দাবি উঠল ‘সেভ ডেমোক্রাসি’-র জেলা সন্মেলন থেকে।
রবিবার বাঁকুড়ার চাঁদমারিডাঙা এলাকার একটি লজে ওই সংগঠনের প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বিধানসভা ভোটের পরে এই জেলার বিভিন্ন ব্লকের প্রায় ২০০ জন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী ঘরছাড়া। এটা কি গণতন্ত্রের পরিচয়?’’ তাঁর দাবি, অবিলম্বে ওই সব ঘরছাড়া মানুষকে নিজেদের গ্রামে ফেরাতে তৎপর হতে হবে পুলিশ ও প্রশাসনকে। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
বিধানসভা ভোটের পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে মনসা পুজোর অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে খুন হন তালড্যাংরার নিয়োগীডাঙার সিপিএম কর্মী অরুণ সর্দার। তালড্যাংরারই শালবাগানের সিপিএম কর্মী সুবোধ মান্ডিকে একটি পুরনো বেআইনি মদ তৈরির অভিযোগে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার বলে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বাঁকুড়া জেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঁকুড়া মেডিক্যালে তাঁর মৃত্যু হয়। দু’টি ঘটনাতেই তদন্ত সঠিক ভাবে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সেভ ডেমোক্র্যাসির সম্মেলনে নিহত অরুণের স্ত্রী অর্চনা সর্দার ও সুবোধ মান্ডির স্ত্রী সরস্বতী মান্ডি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে সংগঠনের তরফে চার হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। অর্চনাদেবীর ক্ষোভ, “আমার স্বামী খুন হয়েছেন এত দিন হল। অথচ পুলিশ কাউকেই ধরতে পারল না। তদন্তই হচ্ছে না ভাল ভাবে।’’ সরস্বতীদেবীর অভিযোগ, “আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, সুবোধবাবুর মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত অবশ্য শুরু হয়েছে। চঞ্চলবাবু বলেন, “দু’টি ঘটনাতেই তদন্তে গাফিলতি হচ্ছে। অবিলম্বে অরুণের খুনিদের ধরতে হবে পুলিশকে।’’ এ দিন সংগঠনের ৩৭ জনের জেলা কমিটির গঠন হয়। বাঁকুড়ার সম্পাদক হন চণ্ডীদাস মুখোপাধ্যায়, সভাপতি অশনি মজুমদার।