আরও দু’টি গ্রাম দত্তক নিল সিআরপি

গোলকাটা ও লোটোঝর্না দু’টি গ্রামের আর্থিক ও সামাজিক বিকাশের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে শুক্রবার দিনভর অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০৪
Share:

উপহার: গ্রামের মেয়েদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ফুটবল। —নিজস্ব চিত্র।

বান্দোয়ানের দুটি প্রত্যন্ত গ্রামের সর্বাঙ্গীন বিকাশে উদ্যোগী হল সিআরপি। গোলকাটা ও লোটোঝর্না দু’টি গ্রামের আর্থিক ও সামাজিক বিকাশের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে শুক্রবার দিনভর অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

Advertisement

ইতিপূর্বে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বান্দোয়ানের কাটাগোঁড়া গ্রামের বিকাশের লক্ষ্যে গ্রামটিকে দত্তক নেওয়া হয়েছি সিআরপি।

অতীতে এলাকায় মাওবাদীদের নাশকতার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সিআরপির আই জি এস রবীন্দ্রণ এবং ডিআইজি অনিল কুমার চতুর্বেদী এদিন জানান, হাতিয়ার তুলে নিলে কোন সমস্যার সমাধান হয়না। এলাকার আর্থ সামাজিক বিকাশ ঘটাতে একেবারে তৃণমূল স্তরের সমস্যা উপলব্ধি করতে হবে বলে তাঁদের মত। এজন্যই তাঁরা লোটোঝর্না ও গোলকাটা এই দুটি গ্রাম বেছে নিয়েছেন। ওই এলাকার বাসিন্দাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জলের মতে নিত্য প্রয়োজনীয় অভাব মেটাতে তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান আইজি এবং ডিআইজি। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার সার্বিক বিকাশে উদ্যোগী হলে এলাকায় কোনও সমস্যা থাকে না বলে তাঁদের মত।

Advertisement

বাসিন্দাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে এদিন স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে জওয়ানেরা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ প্রদর্শন করেন। গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে ২৫ জন মহিলাকে সেলাই মেশিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের হাতে এদিন সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। পানীয় জলের অভাব দূর করতে দুটি গ্রামেই সাবমার্শিবল পাম্পের সাহায্যে জল তুলে ট্যাঙ্কের মাধ্যমে সরবরাহ করার ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া বাবুই ঘাস থেকে দড়ি তৈরির মেশিন এবং গ্রামে অনুষ্ঠানের কাজে লাগে এরকম স্বয়ং সম্পুর্ণভাবে চেয়ার টেবিল সহ প্যান্ডেল তৈরির উপকরণ দেওয়া হয়েছে ।

গোলকাটা গ্রামের বিনোদ সিং জানান, সিআরপির পক্ষ থেকে যে সমস্ত উপকরণ মিলেছে এগুলি তাঁদের কাজে লাগবে। লোটোঝর্নার ছায়ারানি মুন্ডা বলেন, ‘‘আমি সেলাই মেশিনের প্রশিক্ষণ পেয়েছি। আজ মেশিন পেলাম। নিজে কাজ করে কিছু রোজগার করতে পারব।’’

এদিন অনুষ্ঠানে সিআরপির ১৬৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সমস্ত আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, কাছেই গুড়পানা ও কুচিয়া শিবির রয়েছে। দু’টি গ্রামে উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজ কতটা এগোচ্ছে তা জানতে মাঝেমধ্যে গ্রামে এসে খোঁজখবর নেওয়া নেবেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement