আসন্ন পুরভোটে রঘুনাথপুর পুরসভার একটি ওয়ার্ডে প্রতিবাদী মঞ্চের নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী উমা রজককে সমর্থন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের রঘুনাথপুর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক লোকনাথ হালদার। উমাদেবী ওই ওয়ার্ডে ‘রঘুনাথপুর শহর প্রতিবাদী মঞ্চ কমিটি’ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রার্থী।
রঘুনাথপুর পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময়ে সিপিএমের তরফে ২ নম্বর ওয়ার্ডে উমাদেবীকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। ফলে, বিভ্রান্তি ছড়ায় এলাকায়। কারন উমাদেবী নির্দল প্রার্থী হিসাবেই মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তবে সিপিএমের একাংশের ব্যাখ্যা, যেহেতু প্রতিবাদী মঞ্চ কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তাই প্রাক নির্বাচনী বোঝাপড়ার অঙ্গ হিসাবে ২ নম্বর ওয়ার্ডে উমা রজককে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লোকনাথবাবু বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ডে আমরাও কোন প্রার্থী দিইনি। সেখানে উমা রজক বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন।” বস্তুত, গত পুরভোটের সময়েই রঘুনাথপুরে প্রতিবাদী মঞ্চ গড়ে উঠেছি। কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থীও দিয়েছিল এই মঞ্চ। সেগুলির মধ্যে দুই নম্বরে তৃণমূলের বিদায়ী উপপুরপ্রধান বাসুদেব বাউরির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল প্রতিবাদী মঞ্চের প্রার্থী ঝন্টু রজকের। সামান্য ভোটের ব্যবধানে বাসুদেবাবুর কাছে হেরে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন মঞ্চের প্রার্থী। এ বার সেই ওয়ার্ডে বামফ্রন্ট মঞ্চের প্রার্থীকে সমর্থন করায় ওয়ার্ডটিতে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী প্রতিবাদী মঞ্চ।
২ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে পড়ায় সেখানে মঞ্চ প্রার্থী করেছে সংগঠনের কোর কমিটির সদস্য বিনয় রজকের স্ত্রী উমাদেবীকে। কোর কমিটির আর এক সদস্য বিমান দে-র দাবি, ‘‘গতবার ২ নম্বর ওয়ার্ডে মঞ্চের প্রার্থী সামান্য ভোটে হেরেছিলেন। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। গত বার পুরসভায় তৃণমূলের সঙ্গে এসইউসি-র জোট ছিল। এ বার সেটা নেই। তা ছাড়া তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি করেছে। ফলে, ওই ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে আমাদের প্রার্থী জিততেই পারেন।’’ যদিও মঞ্চের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে রঘুনাথপুরে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির সদস্য মৃত্যুঞ্জয় পরামানিক বলেন, ‘‘দিবাস্বপ্ন দেখছে প্রতিবাদী মঞ্চ। বর্তমানে সিপিএমকে রঘুনাথপুরে দূরবীণ দিয়ে খুঁজতে হয়। আর সেই সিপিএমকে আগেই বিভিন্ন ভোটে পরিত্যাগ করেছেন রঘুনাথপুরের বাসিন্দারা। ফলে ওই দলের সমর্থন নিয়ে ভোটে লড়ে বরং আমাদের কাজটাই সহজ করে দিয়েছে প্রতিবাদী মঞ্চ!”