রঘুনাথপুরে শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমিতে ভারী শিল্প তৈরির দাবি তুলল সিপিএমের তিনটি শাখা সংগঠন। এই দাবিতে সোমবার রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফেরত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে রঘুনাথপুরেও শিল্পতালুকের জন্যে ন’বছর আগে নেওয়া জমি ফেরতের দাবি ওঠে। স্থানীয় কৃষি কমিটি আগেই এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। অধিগৃহীত জমিতে শিল্প গড়ার দাবিতে পাল্টা মাঠে নেমেছে শাসকদলও। এরই মধ্যে সিপিএমের তিন শাখা সংগঠন অধিগৃহীত জমিতে ভারী শিল্প গড়ার দাবি তুলল। দলের কৃষিক, শ্রমিক ও যুব শাখার দাবি, ‘‘শিল্প গড়তে না পারলে রাজ্য সরকার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ-সহ জমি কৃষকদের ফেরত দিক।’’ এ দিন বিকালে রঘুনাথপুরের জীবনবিমা নিগমের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করে শাখা সংগঠনগুলির কর্মী-সমর্থকরা মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে যান। প্রসঙ্গত, বাম আমলেই রঘুনাথপুর শিল্পতালুক গড়ার জন্যে পর্যায়ক্রমে ১৮৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে রাজ্য। জয় বালাজি-সহ কয়েক’টি শিল্প সংস্থাকে ওই জমি দেওয়া হয়েছিল। সিটু নেতা তথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ রায়ের অভিযোগ, ‘‘বাম আমলে রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায় ভারী শ্রম নিবিড় শিল্প গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা-সহ কৃষকরা সহযোগিতা করেছিলেন জমি অধিগ্রহণে। কিন্তু গত ছ’বছরে রাজ্য সরকার ওই জমিতে কোন শিল্পই করতে পারেনি।’’ তিনি যোগ করছেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে আগামী ছ’মাসের মধ্যে ওই জমিতে ভারী শিল্প গড়তে হবে। সেখানে কাজ দিতে হবে স্থানীয় বেকার যুবক ও জমিদাতাদের।”