বোলপুরের শ্রীনিকেতন মোড়ে সিপিএমের সভা। নিজস্ব চিত্র
জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহাড়ে বন্দি। অন্য দিকে, জেলায় শাসক শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। ভাঙন বিজেপিতেও। এমনই দাবি সিপিএমের। সোমবার বিকেলে শ্রীনিকেতন মোড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে বোলপুর সংলগ্ন ভেড়ামারি, লোহাগড়, মির্জাপুর, রায়পুর থেকে বেশ কয়েক’শো কর্মী, সমর্থক এ দিন সিপিএমে যোগদান করেন। এ নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরে।
দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলগুলি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও এই অঞ্চলগুলির অধিকাংশ জায়গায় লিড ছিল তৃণমূলের। কিন্তু অনুব্রত গ্রেফতার হতেই এলাকাগুলির রাজনৈতিক অবস্থান বদলাতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবার তৃণমূল, বিজেপি ছেড়ে বিরোধী শিবিরে অঞ্চল কমিটি সদস্য, কর্মী, সমর্থকদের যোগদান তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এ দিনের যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য বকুল ঘড়ুই, সিপিএম নেতা সঞ্জীব বর্মণ, নানুরে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান-সহ অনেকেই। বকুল ঘরুই বলেন, “ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল আর বিজেপির প্রার্থী খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।” যদিও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। জেলা সভাধিপতি তথা দলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “এ সব গল্প তৈরি করা হচ্ছে। হতে পারে বিজেপি থেকে সিপিএমে যোগদান করেছে। এখনও সে দিন আসেনি যে তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে মানুষ সিপিএমে যোগদান করবে। বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে।” বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই সমস্ত কিছু লোক দেখানো। বিজেপির লোকজন বিজেপিতেই থাকবে।’’