ক্রীড়া সংস্থার মাঠে উৎসবের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
খেলার মাঠে রামপুরহাট উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। সবুজ ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে রামপুরহাট উৎসব বয়কট করার দাবিতে রামপুরহাট শহরে মিছিল করল সিপিএমের ছাত্র এবং যুব সংগঠন।
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ রামপুরহাট ডাকবাংলা মোড়ে দুই সংগঠনের সদস্যেরা সমবেত হন। সেখান থেকে মিছিল করে পাঁচমাথা মোড় ব্যাঙ্ক রোড হয়ে রামপুরহাট গান্ধী ময়দানের সামনে দিয়ে রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন সদস্যেরা। মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্ব রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সবুজ ধ্বংস করে রামপুরহাট উৎসবের আয়োজনের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ অভিযোগ করেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে রামপুরহাট পুরসভার তত্ত্বাবধানে আগামী ১, ২ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি রামপুরহাট উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এর জন্য সবুজ ধ্বংস করা হচ্ছে।’’ তিনি এই খরচের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এই অর্থের উৎস যদি সরকারি হয় তা হলে সেই টাকায় রামপুরহাট পুরসভার একমাত্র সাংস্কৃতিক মঞ্চ রক্তকরবী সংস্কার করা হচ্ছে না কেন? রামপুরহাটের সমস্ত সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং গ্রুপ থিয়েটারগুলি মঞ্চের অভাবে তাঁদের অনুষ্ঠান করতে পারছে না।’’ এই অবস্থায় শহরবাসীর কাছে রামপুরহাট উৎসব বয়কটের ডাক দিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সাদ্দাম নাভাস জানান, ‘‘রক্তকরবী পুরমঞ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চালু করার জন্য নগরউন্নয়ন মন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছে। উনি আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি, রক্তকরবীর সংস্কারের জন্য জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে কথাও বলেছেন।’’ রক্তকরবী পুরমঞ্চ চালু করার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হচ্ছে বলে মহকুমাশাসক দাবি করেছেন।
রামপুরহাট উৎসবের আয়োজন প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘২০২২ সালে রামপুরহাট ক্রীড়া সংস্থার মাঠে একমাত্র ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। তিন দিনের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে পুরসভা নিজের উদ্যোগে মাঠ সংস্কার করে দেবে।’’পুরপ্রধান সৌমেন ভকত বলেন, ‘‘রামপুরহাট উৎসবে শহরের সমস্ত স্তরের সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আমরা রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীতা নয়, শহরের সমস্ত সংস্কৃতিমনস্ক বাসিন্দাদের খোলা মনে এই উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান করছি।’’