নজরবন্দি: জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার বোলপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বদ্ধপরিকর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস— রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় এমনই বার্তা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
কয়েক দিন আগেও এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘কোনও প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সভাপতি সুব্রত বক্সী বা জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিমকে জানাব। দুর্নীতির যোগ মিললে এক বছর পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। দলকে জানিয়েই সব করা হবে। এ বিষয়ে প্রত্যেক প্রধান ও উপপ্রধানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’’ রবিবার নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতিদের নাম ঘোষণা করার পরে ফের এই বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি। জেলা থেকে যাঁদের নাম ঠিক করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মনোনীত করা হয়েছে জানান অনুব্রত। জেলা পরিষদের সদস্যদেরও প্রদেশের অনুমোদন মিলেছে এবং শীঘ্রই ওই নামের তালিকা প্রকাশ করার কথাও জানানো হয়। এ দিনের সভায় নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তিনি জানান— তাঁরা সকলে মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন। যেন মানুষের জন্যই কাজ করেন। সরকারি প্রকল্পগুলির কথা গ্রামে পৌঁছে দেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৬৪টি পঞ্চায়েত গঠন হয়ে গেছে। বাকি পঞ্চায়েতগুলি কয়েক দিনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।
এক বছর পরে প্রধানের কাজের মূল্যায়ন করার ঘোষণায় চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে জেলার ত্রি-স্তরেই বিপুল প্রাধান্য থেকেছে শাসকদল তৃণমূলের। জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের প্রতিটি, ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির সব ক’টি এবং ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ার পথে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
অনুব্রতের পাশাপাশি এ দিন সভায় মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলার বিধায়ক ও নেতা-নেত্রী, কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক থেকে অস্ত্রবিহীন মহরম পালন করতে এবং হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বজায় রেখে দুর্গাপুজো ও মহরম পালনের বার্তা দেন অনুব্রত।