তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন দলেরই কিছু পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মী। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়েই গীতাঞ্জলি প্রকল্পের উপভোক্তাদের নামের তালিকা তৈরি করে ফেলা হয়েছে। সোমবার বাঁকুড়ার ইঁদপুর ব্লকের ব্রজরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তবে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের বন্দনা বাউরির দাবি, তালিকাটি তৈরি করেছেন পঞ্চায়েতের সচিব। ব্রজরাজপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য গোলকবিহারী দত্ত এবং কার্তিক মালের অভিযোগ, গীতাঞ্জলি প্রকল্পে এলাকার ১৬ জন উপভোক্তার নামের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে প্রকৃত দুঃস্থদের নাম আদৌ নেই। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। এর প্রতিবাদে এ দিন দুপুর ১২ টা নাগাদ পঞ্চায়েতের চার জন কর্মীকে বের করে তালা ঝোলানো হয়। তালিকা নিয়ে সদস্যদের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের বন্দনা বাউরি। তাঁর দাবি, “পারিবারিক অসুবিধায় আমি কয়েক দিন পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারিনি। সেই সুযোগে পঞ্চায়েত সচিব নিজেই এই তালিকা তৈরি করে গত সপ্তাহে আমার বাড়িতে গিয়ে সই করাতে এসেছিলেন। আমি ওই তালিকায় সই করিনি। আমাকে না জানিয়েই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।” প্রধানের দাবি, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। তালিকা সংশোধনের চেষ্টা চলছে। পঞ্চায়েত সচিব গোপাল বাস্কে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, “যা বলার, আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব।’’ বিডিও (ইঁদপুর) তপনকুমার মণ্ডল বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে তালা খোলানোর চেষ্টা চলছে।”