(বাঁ দিকে) বোলপুরে টিকা নিতে লম্ব লাইন, (ডান দিকে) সাঁইথিয়ায় লাইনে এমনই অবস্থা। নিজস্ব চিত্র।
কেউ ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে তবে কুপন সংগ্রহ করলেন, কেউ রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও পেলেন না টিকা। আবারও একবার কোভিড টিকা দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠল বোলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। যদিও তা মানতে চায়নি স্বাস্থ্য দফতর। একই অভিযোগ উঠেছে সাঁইথিয়াতেও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাস দুয়েক আগে করোনার প্রতিষেধকের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজের টিকা ৮৪ দিন পরে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই আবারও প্রথম ডোজের টিকাকরণ শুরু হয়েছে।
২২ থেকে ৪৫ বছর এবং ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষদেরই সেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর সেই টিকা নিতে এ দিন শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় জমান বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে।
বোলপুরের বাসিন্দা মঞ্জু মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী সরকার, সুদেষ্ণা রায়দের অভিযোগ, “টিকা দেওয়ার নামে চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে। বহু মানুষ দূর-দূরান্ত টিকা নিতে এসে ঘুরে গিয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকাকরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তাহলে এই ধরনের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় না।” বোলপুরের বিএমওএইচ সব্যসাচী রায় অবশ্য বলেন, “সবাইকে একদিনে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। এ দিন প্রায় ৪০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আবারও দেওয়া হবে।” এ দিন বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টিকা নিতে বহু মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই লাইন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়িয়ে মূল রাস্তা পর্যন্ত চলে যায়। সেই লাইনেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।
সাঁইথিয়াতেও প্রতিষেধক নেওয়ার লাইনে দূরত্ব না মানার অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব দত্ত বলেন, ‘‘এত অনুরোধ করা হচ্ছে। তার পরেও সচেতন নয় এলাকাবাসী। তাই আমরা পুলিশ-প্রশাসনের কাছেও বিষয়টি দেখার আবেদন জানিয়েছি।’’