খুচরো নিয়ে বিভ্রান্তি দুবরাজপুর বাজারে

কেউ বলছেন, ‘‘এগুলো দেবেন না, চলছে না।’’ আবার কেউ বলছেন, ‘‘অনেক জমেছে, আর নেব না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০০
Share:

কেউ বলছেন, ‘‘এগুলো দেবেন না, চলছে না।’’ আবার কেউ বলছেন, ‘‘অনেক জমেছে, আর নেব না।’’

Advertisement

ছোট ১ টাকার কয়েন বা দশ টাকার কয়েন দিলেই দুবরাজপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা এমনই অজুহাত দিচ্ছেন। কেন চলবে না— এই প্রশ্ন তুললে কখনও বিনয়ের সঙ্গে কখনও ঝাঁঝিয়ে ব্যবসায়ীরা উত্তর দিচ্ছেন, ‘‘নেব না, সচল হলে ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিন।’’ দিনকয়েক ধরে গোটা দুবরাজপুর বাজারে কার্যত খুচরো ১ টাকার (ছোট)কয়েন বা ১০ টাকার কয়েন চালাতে না পেরে কার্যত ফাঁপরে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সব্জি বিক্রতা থেকে মনোহারী দোকান, মিস্টির দোকান থেকে মুদিখানা কোথাও খুচরো নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা, অভিযোগ সাধারণ মানুষের। তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘কোথাও তো এমন হচ্ছে না, কেন শুধু দুবরাজপুর বাজারেই এমনটা হবে। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করুক।’’

সমস্যায় পড়েছেন ভিক্ষাজীবীরাও।

Advertisement

এ দিন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘‘নিতে আপত্তি নেই। কিন্তু এত সংখ্যক খুচরো পয়সা আমরাই বা চালাব কোথায়।’’ সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘যে সব ব্যবসায়ী ১ টাকার কয়েন অচল বলে প্রচার করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। তবে ব্যাঙ্ক যদি নিয়ম করে খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেন, তাহলে প্রচার করে, সাধারণ মানুষের থেকে খুচরো নেওয়াটা বাধ্যতামূলক করা যায়।’’

কী বলছে ব্যাঙ্ক?

দুবরাজপুরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছেন, ‘‘খুচরো আমরা নিই। তবে কোনও গ্রাহক এসে যদি বলেন ৫০০০ টাকার ১ টাকার কয়েন নিতে হবে সেটা অসুবিধার।’’ সহমত পোষণ করছেন জেলা লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দীপ্তেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর। তিনি বলছেন, ‘‘ব্যাঙ্কের ব্যস্ত সময়ে বেশি সংখ্যক কয়েন নেওয়া অসুবিধার। তবে কেউ বেশি কয়েন জমা দিতে চাইলে আগে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগযোগ করবেন। তাহলে অসুবিধার কিছু নেই।’’

এলডিএমের কথায়, ‘‘বাজারে কয়েনের উপস্থিতি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ফলে অহেতুক ভীতি কাজ করছে। দুবরাজপুরের শহরে এমন সমস্যা মেটাতে ব্লক লেভেলে বৈঠকে আলোচনা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement