বন্ধ মিড-ডে মিল

রান্নার দায়িত্ব নিয়ে কাজিয়া হুড়ার স্কুলে

মিড-ডে মিল রান্না কারা করবেন, এই ঝামেলার জেরে শিকেয় উঠেছে স্কুলের পড়াশোনাই। হুড়া ব্লকের চাটুমাদার মহাত্মা গাঁধী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। ওই স্কুলে রান্নার কাজের দাবিতে এলাকার যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা এবং বর্তমানে যাঁরা রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন, দু’পক্ষই রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে রান্না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুড়া শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩৮
Share:

রান্নাঘরের তালা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। — নিজস্ব চিত্র।

মিড-ডে মিল রান্না কারা করবেন, এই ঝামেলার জেরে শিকেয় উঠেছে স্কুলের পড়াশোনাই। হুড়া ব্লকের চাটুমাদার মহাত্মা গাঁধী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। ওই স্কুলে রান্নার কাজের দাবিতে এলাকার যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা এবং বর্তমানে যাঁরা রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন, দু’পক্ষই রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে রান্না। সোম ও মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও পর্যন্ত করে রাখেন নতুন করে রান্নার দায়িত্ব পাওয়ার দাবি জানানো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা। মঙ্গলবার হুড়া থানার পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও মুক্ত করে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন এই স্কুলে এলাকারই তিন মহিলা রান্নার কাজ করতেন। সম্প্রতি চাটুমাদার ও লাগোয়া মৌরাংডি গ্রামের ১৭টি স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা প্রধান শিক্ষকের কাছে তাঁদের রান্নার কাজ দিতে হবে বলে দাবি করেন। ওই মহিলাদের যুক্তি, অন্য স্কুলে যেহেতু স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা রান্নার কাজ করছেন, তাই এখানেও তাঁদের সেই কাজ দিতে হবে। ওই স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা জানান, গত এক সপ্তাহে তাঁরা প্রদান শিক্ষকের কাছে এই দাবি জানিয়ে কোনও সদুত্তর পাননি। তাই শনিবার তাঁরা স্কুলে গিয়ে রান্নাঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। অন্য দিকে, যাঁরা এত দিন রান্নার কাজ করছেন, তাঁরা সোমবার স্কুলে এসে জানতে পারেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। তখন তাঁরাও রান্নাঘরে আর একটি তালা ঝুলিয়ে দেন।

নাটকের অবশ্য এখানেই শেষ নয়।

Advertisement

সোমবার ১৭টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা ফের স্কুলে পৌঁছে রান্নার দায়িত্ব পাওয়ার দাবিতে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখেন। তবে, ঘেরাও খুব বেশিক্ষণ চলেনি। মঙ্গলবার তাঁরা আরও বেশি সদস্য নিয়ে এসে প্রধান শিক্ষককেও তালাবন্দি করে রাখেন। খবর পেয়ে বিডিও-র এক প্রতিনিধি এবং পুলিশ স্কুলে হাজির হলে তালা খুলে তাঁদেরও ঘেরাও করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। বিডিও-র প্রতিনিধি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তাঁরা কোনও কথা শুনতে রাজি হননি। খবর পেয়ে হুড়ার বিডিও সুব্রত পালিত এবং থানার ওসি স্কুলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও মুক্ত করেন। রান্নাঘরের দু’টি তালাই ভেঙে ফেলা হয়।প্রধান শিক্ষক অলকানন্দ মাহাতো বলেন, ‘‘এ দিন আমাকে রান্নার কাজের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। পরে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘেরাও মুক্ত হয়েছি। আমি কাউকে রান্নার কাজের নির্দেশ দিতে পারি না। এটি আমার এক্তিয়ারেও নয়।’’ বিডিও এ দিন বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলের রান্না নিয়ে স্কুলে একটি সমস্যা হয়েছে। এই মুহূর্তে রান্না নিয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। আমরা দেখছি, আলোচনার মাধ্যমে কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement