গৌতম মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
নিয়োগের পরীক্ষায় কড়া নজরদারি চালানোয় তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক গৌতম মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের তির, বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত ২১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। ওই পরীক্ষায় অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে গৌতমবাবুও ইনভিজিলেটর বা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর দাবি জানান, অ্যাকাডেমিক-১ বিল্ডিংয়ে পরীক্ষা হচ্ছিল। তিনি পরীক্ষা হলে পরিদর্শক হিসেবে যা দায়িত্ব, তা পালন করেছেন। কাউকে অসাধু উপায় অবলম্বনের কোনও সুযোগ দেননি। গৌতমবাবুর অভিযোগ, ‘‘সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন তলার বারান্দায় শম্ভু সরকার নামে এখানকারই চতুর্থ শ্রেণির এক অস্থায়ী কর্মী আমাকে হুমকি দেন। ওই কর্মীও সে দিন নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন। আমি যে ঘরের দায়িত্বে ছিলাম, সেই ঘরেই তাঁর সিট পড়েছিল।’’ কেন হুমকি দেওয়া হবে, সে প্রশ্নে ওই শিক্ষকের বক্তব্য, কাউকে অসুদপায় অবলম্বন করতে দিইনি বলেই হুমকি দেওয়া হয়েছে।
শম্ভুবাবুর আবার দাবি, ‘‘একেবারেই ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি পরীক্ষা দিয়েছি, উনি গার্ডের দায়িত্বে ছিলেন। তাই বলে আমি ওঁকে হুমকি দিতে যাব কেন? তা ছাড়া গৌতমবাবু বারান্দায় দাঁড়িয়ে যে সময় হুমকির কথা বলছেন, যে সময় তো আরও অনেকেই ছিলেন।’’
উল্লেখ্য, গৌতমবাবু তৃণমূলের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য কমিটির সহ-সম্পাদক। অন্য দিকে, শম্ভুবাবুও সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল প্রভাবিত চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মী সংগঠনের কমিটিতে রয়েছেন। দু’জনেই শাসকদল প্রভাবিত দু’টি কর্মী সংগঠনের পদাধিকারী হওয়ায় এমন অভিযোগে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সুবলচন্দ্র দে জানিয়েছেন, গৌতমবাবুর দায়িত্বে ছিল ১০৭ নম্বর ঘর। তিনি ১০৬ নম্বরেও গার্ড দিয়েছিলেন। কেন তার কোনও ব্যাখ্যা তাঁর কাছে নেই। বাকি কী ঘটেছ, তিনি জানেন না বলেও সুবলচন্দ্রবাবুর দাবি।
এই প্রসঙ্গে গৌতমবাবু দাবি করেন, ১০৬ নম্বর ঘরের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে ওই ঘরে গার্ড দিতে হয়।
রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও অভিযোগপত্র আমি দেখিনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলব।’’