টোল সংগ্রহ। নিজস্ব চিত্র
এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার গাড়ি আটকে টোল নেওয়ার নামে দাদাগিরির অভিযোগ উঠল নলহাটি ১ ব্লকের ব্রাহ্মণী নদীর উপর দেবগ্রাম কজওয়েতে। ওই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও ছড়িয়েছে। তবে তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। বিতর্কের পরেই অভিযুক্ত কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি ও টোল কর্মীর মধ্যে বচসা চলছে। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন ওই ব্যক্তির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তাঁর শাশুড়ি। টোল নিয়ে দাদাগিরি ও দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে রাখার কথা জানিয়ে পরিবারটি বিডিওর (নলহাটি ১) কাছে মৌখিক অভিযোগ করে। বিডিও মৌমিতা ঘোষ ও নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশাধন মাল ও আধিকারিকেরা বৈঠকে বসেন। যে সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল তাঁদের কাছে বিষয়টি জেনে যে কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বছর তিনেক আগে নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে দেবগ্রামের কাছে ব্রাহ্মণী নদীর মধ্যে হিউম পাইপ বসিয়ে তার উপর কংক্রিটের ঢালাই করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। কজওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতি টেন্ডার করে একটি সংস্থাকে বরাত দেয়। সংস্থার কর্মীরা ছোট গাড়িতে কুড়ি টাকা ও ট্রাক ও বাস থেকে ৫০ টাকা করে তোলে। তাঁদের এক কর্মী দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলার স্বামী নাসিম শেখের অভিযোগ, দুপুর থেকে তাঁর স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তড়িঘড়ি রামপুরহাট মেডিক্যালে যাচ্ছিলেন তাঁরা। দেবগ্রাম ঘাটের কাছে তাঁদের ভাড়া করা গাড়িটি আটকায় কয়েকজন টোল কর্মী। তাঁর কথায়, ‘‘তাড়াতাড়ি রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিলাম পরে দেব। তাতেই টোলের কর্মী দুর্ব্যবহার শুরু করেন। সবটাই ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেছি। প্রায় কুড়ি মিনিট পরে গাড়ি ছাড়া হয়। এ ভাবে চলতে থাকলে টোল দিতে গিয়ে যে কোনও দিন রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।’’
টোল তোলার নামে কর্মীদের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশও। বিডিও (নলহাটি ১) মধুমিতা ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’