—ফাইল চিত্র
আরামবাগ হ্যাচারিজের রাজনগরের তাঁতিপাড়া বক্রেশ্বর ইউনিট ফের চালুর দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হল বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিটু। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে সহকারী লেবার কমিশনারের কাছে। তার প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, রাজনগরের বিডিও ও চন্দ্রপুর থানার ওসিকে।
সোমবার আরামবাগ হ্যাচারিজ লিমিটেডের রাজনগরের তাঁতিপাড়া (বক্রেশ্বর) শাখায় ‘নোটিস অফ ক্লোজ়ার’ ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। তাতে নোটবন্দি ও জিএসটি চালুর পর পর্যায়ে পোলট্রি ব্যবসায় মন্দা ও কর্মীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অধিকারিকদের প্রতি দুর্ব্যবহারকে দায়ী করা হয়। রাতারাতি কাজ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন ওই ফার্মের শ’দুয়েক কর্মী। যাতে ওই সমস্যা কাটে সে বিষয়েই আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটু নেতৃত্ব।
সহকারী লেবার কমিশনার নীলমাধব সেন বলেন, ‘‘শ্রমিক সংগঠনের তরফে চিঠি পেয়েছি। বৃহস্পতিবারই আরামবাগ হ্যাচারিজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই ইউনিটে নোটিস অফ ক্লোজ়ার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে দফতরের ইন্সপেক্টররেরা ওই ফার্ম পরিদর্শনে যাচ্ছেন। রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’’
ওই ইউনিট আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই ডান ও বাম দুই শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ ছিল— পরিকাঠামো, ব্যবস্থাপনা ভাল ছিল ফার্মের। অনিয়মিত বেতন এবং পুজোর বোনাস না পাওয়ায় অসন্তোষ থাকলেও শ্রমিকদের তরফে অধিকারিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার বা বিশৃঙ্খল আচরণ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় ওই ইউনিট বন্ধ করে শ্রমিকদের বিপাকে ফেলা হচ্ছে।
বাম শ্রমিক সংগঠন যেমন সহকারী লেবার কমিশনারের কাছে ওই ফার্ম খোলার আবেদন জানিয়েছে, তেমনই বৃহস্পতিবার তৃণমূল সংগঠনের পক্ষ জেলা
পরিষদ সভাধিপতির কাছে দরবার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ হারানো শ্রমিকেরা খুবই সমস্যায় পড়েছেন। সকলেই চাইছেন, সব কর্মীকে বহাল রেখেই ফের চালু হোক ওই ফার্ম।