মহিলা তৃণমূলের অনুষ্ঠানে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, চন্দ্রনাথ সিংহ ও কাজল শেখ। মঙ্গলবার বোলপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি নিজের সম্পত্তি এবং তার উৎস প্রকাশ্যে আনেন, তাহলে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতানেত্রীদেরও সম্পত্তি প্রকাশের নির্দেশ দেবেন বলে সোমবার জানিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি এমন বলতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহের সভাকক্ষে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে এসেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ছিলেন মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়দর্শিনী হাকিম, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, জেলা মহিলা তৃণমূলের সভাপতি সাহারা মণ্ডল।
সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা বলেন, “আমি বিচারপতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, তাঁর সামনে এ ধরনের কোনও মামলা ছিল না। অযাচিত ভাবে এই ধরনের বিষয় নিয়ে তিনি বলতে পারেন কি না, আমার জানা নেই। তাঁর একবার বিবেচনা করা উচিত।”
এ দিন নিজের বক্তৃতায় বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন প্রিয়দর্শিনী। বলেন, “এখন আপনি সিবিআই, ইডিকে দিয়ে রোজ রোজ কালো টাকা ধরতে পারছেন, ধরানোর চেষ্টা করছে। তাহলে আপনি যখন নোটবন্দি করেছিলেন কালো টাকা উদ্ধার করবেন বলে, তার পরেও এত কালো টাকা উদ্ধার হচ্ছে কী ভাবে?’’
কাজল শেখ আরও একবার বীরভূমে জোড়া ফুল ফুটবে বলে দাবি করেন এ দিন। তাঁর অভিযোগ, বাংলার বাইরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে আদিবাসী ও তফসিলি জাতি-জনজাতির কেউই সুরক্ষিত নন। এমনকি মহিলারাও সুরক্ষিত নন। এর পরেই কাজল বলেন, ‘‘বীরভূম জেলার দু’টি লোকসভা আসনে আমরা জোড়া ফুল ফুটিয়ে দেখিয়ে দেব যে, এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও দল নেই।’’