সিউড়ির পরে এ বার রামপুরহাট।
বাসের মাথায় চেপে যাওয়ার পথে রেলসেতুতে ধাক্কা লেগে প্রাণ গেল আরও এক ব্যক্তির। মৃতের নাম লালন ঠাকুর (৫৫)। বাড়ি বিহারে। মঙ্গলবার বিকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট দুমকা রোডের উপর রামপুরহাট ছ ফুঁকো সেতু এলাকায়। ওই দুর্ঘটনায় আরও ৫ যাত্রী গুরুতর জখম হয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাসের ছাদে চেপে যাতায়াত তো আইনত নিষেধ। বীরভূম জেলা পরিবহণ দফতরের তথ্য বলছে, একই রকম ভাবে বাসের ছাদে চেপে গন্তব্যে যাওয়ার পথে গত দেড়-দু’বছরে কম করে ২০-২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফের দুর্ঘটনার কথা জেনে অনেকেই বলছেন, ‘‘এ আর নতুন কী? মর্মান্তিক হলেও এমনটাই তো হওয়ার ছিল!’’ প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক মৃত্যুও যাত্রীদের সচেতনতা ফেরাতে পারেনি। তা ছাড়া কেন পুলিশি নজরদারি নেই, কেন বাসকর্মীরা ছাদে ওঠার অনুমতি দেন— সেই চেনা প্রশ্নগুলি আরও একবার উঠতে শুরু করেছে। চালক থেকে কন্ডাক্টর অনেকের অভিযোগ, ‘‘কিছু লোক আছেন, যাঁরা বাসের ছাদে চেপে যেতেই পছন্দ করেন। নিষেধ করলেও শোনেন না!’’ এক কন্ডাক্টরের কথায়, ‘‘প্রশাসন নজরদারি চালালে ভাল হয়।’’