প্রতীকী ছবি।
দু’দিন সচল থাকল বিএসএনএল-এর মোবাইল পরিষেবা!
রবিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত রঘুনাথপুর ও মানবাজার মহকুমা জুড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল সরকারি এই সংস্থার নেটওয়ার্ক। বুধবার বিকেল ৪টের পরে অবস্থা সেই তিমিরেই থিতু হল। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে উধাও হয়ে গেল বিএসএনএল-এর মোবাইল নেটওয়ার্ক। মাঝের আটচল্লিশ ঘণ্টাও যে নির্ঝঞ্ঝাট ছিল, এমনটা নয়। মঙ্গলবার দুপুরে আদ্রায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়নি বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার আধিকারিক ও কর্মীদের দায়বদ্ধতা নিয়ে গ্রাহকদের প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠে আসতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল থেকে রঘুনাথপুর, আদ্রা, কাশীপুর, নিতুড়িয়া, সাঁতুড়ি, সাঁওতালডিহি, চেলিয়ামা, বেড়ো, সোনাথলি এলাকায় পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকাল থেকেই নেটওয়ার্ক উধাও মানবাজার, বোরো, বান্দোয়ান, পুঞ্চা, বরাবাজার, গোপালনগর-সহ মানবাজার মহকুমার বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ এলাকায়। ওই এলাকার গ্রাহকদের দাবি, দৈবাৎ নেটওয়ার্ক মিললেও কিছুক্ষণের মধ্যেই উধাও হয়ে যাচ্ছে।
সরকারি পরিষেবার এই হাল নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। বোরোর বাসিন্দা মলয় মাহাতো বলেন, ‘‘আমি নিজে বিএসএনএল-এর গ্রাহক ছিলাম। বাধ্য হয়ে বেসরকারি সংস্থার পরিষেবা নিয়েছি।’’ এক গ্রাহকের মন্তব্য, ‘‘বেসরকারি পরিষেবা ঠিক থাকছে, সরকারি পরিষেবা বারবার অচল হয়ে পড়ছে। তাহলে কী কোনও অন্তর্ঘাত হচ্ছে? সত্যি যদি সেটা হয় তাহলে তো দফতরের তদন্ত করে দেখা দরকার।’’
জেলার বিস্তীর্ণ অংশের সরকারি পরিষেবার এই হাল নিয়ে ক্ষুব্ধ জেলার সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন আগে জেলার প্রায় অর্ধেক এলাকায় পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছিল টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে। বুধবারও দেখছি একই ছবি। আধিকারিকদের বলেও কোনও কাজ হয় না দেখেছি। আমি সংসদের আগামী অধিবেশনের জিরো আওয়ারে এই নিয়ে কথা বলব।’’
বিএসএনএলের পশ্চিমবঙ্গ সার্কলের জেনারেল ম্যানেজার শ্যাম নারেনের কাছে এ দিন বেহাল পরিষেবার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পরিষেবা দ্রুত কী ভাবে সচল করা যায় সেটা দেখছি।’’