ভাইপোর পাশে
পুরুলিয়া: দাদার সঙ্গে মন কষাকষি। সেই গোঁসা কাটল ভাইপো ভোটে দাঁড়ানোর পরে। পুরুলিয়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যজ্যোতি প্রসাদ সিংহ দেওয়ের সমর্থনে হোর্ডিং দিয়ে প্রচারে নামলেন তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে পুরপ্রধান কে পি সিংহ দেওয়ের মন কষাকষি সম্প্রতি তুঙ্গে উঠেছিল। জল এতটা গড়ায় যে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়। বিক্ষুব্ধদের সামনের সারিতে ছিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া শহর সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডল। বিদায়ী বিধায়ক কেপি-র ছেলে দিব্যজ্যোতিকে দল এ বার প্রার্থী করায় দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল, বাবার উপর ক্ষুব্ধরা কি ছেলেকে জেতাতে ভোটে নামবেন? এরই মধ্যে রবিবার পুরুলিয়ার হাসপাতাল মোড়ে এক হোর্ডিং নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। দিব্যজ্যোতিকে জেতাতে দলের কাউন্সিলরদের নাম দিয়ে হোর্ডিং দিয়েছেন বৈদ্যনাথবাবু। পুরনো প্রসঙ্গ তুলতে না চেয়ে বৈদ্যনাথবাবু বলছেন, ‘‘আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে হবে।’’
পক্ষপাত নাকি
বান্দোয়ান : বাড়ির দেওয়ালে কাস্তে হাতুড়ি আঁকা হয়েছে। তার পরের দিনই পুলিশ এসে সেই বাড়ির মালিকের কাছে জানতে চায়, দেওয়াল লিখন আদৌ তাঁর অনুমতি নিয়ে হয়েছিল কি না। বোরো থানার খড়িদুয়ারা গ্রামের সেই বাড়িটির মালিক এমন প্রশ্ন শুনে তো অবাক। নিজের বাড়ির দেওয়ালে নিজেই এঁকেছিলেন দলের প্রতীক, অনুমতি নেবেন কার থেকে! এই দৃষ্টান্ত দিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণপ্রসাদ সিংহ দেও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে দেওয়াল লিখন নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিশ। তাঁর দাবি, সিপিএম প্রার্থীদের নামে দেওয়াল লিখন দেখলেই সেই বাড়িতে গিয়ে অনুমতিপত্র চাইছে পুলিশ। অথচ তার উল্টো দিকের দেওয়ালেই তৃণমূল প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন থাকলেও তা তাঁদের চোখ এ়ড়িয়ে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগের পথে তাঁরা হাঁটবেন না বলে কৃষ্ণপ্রসাদবাবু জানান।