কাঁখুড়িয়া গ্রামে উদ্ধার এক থলি তাজা বোমা। ভিতরে বাক্সে লেখা ‘খেলা হবে’। —নিজস্ব চিত্র।
আবারও বোমা উদ্ধার সিউড়ি ১ ব্লকের আলুন্দা পঞ্চায়েত এলাকায়৷ তিন দিনের ব্যবধানে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বোমা উদ্ধার হল এই এলাকায়। বোমার উপরে কাগজে বাক্সে লেখা ‘খেলা হবে’!
বুধবার এই পঞ্চায়েতের ধল্লা গ্রামে তিন ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার ওই পঞ্চায়েতেরই কাঁখুড়িয়া গ্রামে এক ব্যাগ তাজা বোমা উদ্ধার হল। গ্রামের ভিতরে একটি পুকুরের পাড়ে বাঁশ গাছের নীচে একটি থলেতে রাখা ছিল বোমাগুলি৷ গ্রামবাসীরা ওই পুকুরে নিয়মিত স্নান বা অন্যান্য গৃহস্থালির কাজ সারেন। পুকুর পাড় ধরেই চলে যাতায়াত। সেখানেই এ ভাবে বোমা পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত গ্রামের মানুষ৷
যে থলিতে বোমগুলি পাওয়া যায়, সেখানে বোমাগুলির উপর পড়ে ছিল একটি কাগজের বাক্স। তার গায়ে লেখা 'খেলা হবে'। এই লেখা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, রাজ্যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের নাম 'খেলা হবে' দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বোমা উদ্ধার থেকেই পরিষ্কার, ঠিক কোন বিষয়ের উন্নয়নের কথা তিনি বলতে চেয়েছেন। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “আলুন্দা পঞ্চায়েতে প্রধান হওয়ার মতো কোনও প্রার্থী তৃণমূলের কাছে নেই। তাই অন্য দলের প্রার্থীকে অপহরণের ছক করেছিল তারা৷ তারই রসদ হিসাবে এই বোমা জোগাড় করে রাখা হয়েছিল। এই 'খেলা হবে'র প্রকৃত অর্থ অপহরণের খেলা হবে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষের অভিযোগ, “ইচ্ছাকৃত ভাবে সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টি করার জন্য এসব করা হচ্ছে। বোমা কার কার বাড়িতে আছে, তা পুলিশ জানে। তাই কারও বাড়ি থেকে নয়, বরং মাঠে ঘাটে বোমা উদ্ধার হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, 'খেলা হবে' নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই রাজ্যে তৃণমূল ছাড়া আর কেউ বোমার কারবারি আছে বলে আমাদের জানা নেই।”
বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের কেউ তো চাইবে না যে, বোমা বেঁধে তার উপরে ‘খেলা হবে’ বাক্স প্রকাশ্যে রেখে দিতে! বোঝাই যাচ্ছে, কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এটা সাজিয়েছে। যাতে প্রমাণ করা যায় যে, বাংলায় শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে।’’ প্রশাসন সক্রিয় থাকায় বোমা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।