Bolpur

কোপাই-পাড়ের ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভাঙল প্রশাসন

অভিযোগ সামনে আসার পরই মহকুমাশাসকের নির্দেশে বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক জায়গাটি পরিদর্শন করার পাশাপাশি মাপজোক করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ০৯:২২
Share:

কোপাই নদীর পাড়ের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিচ্ছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

কোপাই নদীর পাড়ে একটি বেসরকারি সংস্থার ‘অবৈধ’ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। এমন পদক্ষেপে খুশি নদী লাগোয়া কমলাকান্তপুরের বাসিন্দারা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কমলাকান্তপুরের বাসিন্দারা কয়েক মাস আগে অভিযোগ করেন, ওই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কোপাই নদীর পাড়ের বেশ কিছুটা অংশ কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা জবরদখল করেছে। এমনকি বিধি ভেঙে সেখানে কংক্রিটের পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়েছে।

এই অভিযোগ সামনে আসার পরই মহকুমাশাসকের নির্দেশে বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক জায়গাটি পরিদর্শন করার পাশাপাশি মাপজোক করেন। প্রশাসনের দাবি, পরিদর্শনে নজরে আসে ওই বেসরকারি সংস্থা নিজস্ব জমি বাদে পাঁচ একরেরও বেশি সরকারি জমি দখল করে রয়েছে। নিয়মবহির্ভূত ভাবে তারা নদীর পাড়ে পাঁচিলও তুলেছে। এর পরেই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করে মহকুমা প্রশাসন। গ্রামবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক ভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধও করা হয়।

Advertisement

ওই বেসরকারি সংস্থা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। মামলাটি গত বছর ডিসেম্বরে উঠলে আদালত মহকুমা প্রশাসনকে নতুন করে এই বিষয়ে তদন্ত করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো মহকুমাশাসক ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জায়গাটি পুনরায় পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান। দখলদারর উচ্ছেদ আইন অনুসারে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নদীর পাড়ের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই সংস্থাকে। অভিযোগ, সংস্থাটি সেই নির্দেশ মানেনি। বৃহস্পতিবার বিডিও (বোলপুর-শ্রীনিকেতন) শেখর সাঁই এবং ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে ওই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়।

মহকুমাশাসক ( বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, “সংস্থাটিকে দখলদারি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। এর পরও তারা না-মানায় আমাদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।” বাসিন্দা অঞ্জলি কোড়া, সুস্মিতা কোড়া বলেন, “আমাদের দাবি মেনে প্রশাসন অবৈধ নির্মাণ ভেঙেছে। প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা খুশি।’’ সংস্থার কারও সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।a

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement