ফের মারধর বিস্তারককে। প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে পথ অবরোধও করে বিজেপি। নেতৃত্বের অভিযোগ, ময়ূরেশ্বরের তেঁতুলডিহি গ্রামে দলীয় কর্মসূচী অনুযায়ী প্রচার চালানোর সময় বিস্তারক স্বপন গড়াই-সহ তিন কর্মীর উপরে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন।
লাঠির আঘাতে বিস্তারকের ডান হাত ভেঙেছে বলেও নেতৃত্বের দাবি। একই ভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে লাভপুরেও।
প্রতিবাদে এ দিন পৌনে পাঁচটা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা কোটাসুর মোড়ে সিউড়ি-বহরমপুর সড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ চলার পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। বিস্তারককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে আজ, সোমবার ময়ূরেশ্বর থানা এবং তেঁতুলডিহি গ্রামে দলের রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় যাচ্ছেন বলেও দলীয় সূত্রের খবর। বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহার অভিযোগ, ‘‘একের পর এক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করছে। পুলিশকে সে সব জানানো হলেও কাজ কিছু হচ্ছে না।’’
লাভপুর মণ্ডল কমিটির সভাপতি সুবীর মণ্ডলের দাবি, ইন্দাস গ্রামেও এক বিস্তারককে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মর্মে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণ প্রসাদ চন্দ্রের কটাক্ষ,‘‘সহানুভূতি পেতে বিজেপি নাটক করছে।’’ তৃণমূলের দাবি, জেলায় নানা জায়গায় বিজেপি নিজেই অশান্তি ছড়াচ্ছে। বিস্তারককে মারধরের অভিযোগও মিথ্যে। গত কয়েকদিনে বার বার একই অভিযোগ তুলেছে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়ূরেশ্বরে মারধরের ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পক্ষপাতের অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশ।