একাই পথ অবরোধ করলেন বিজেপি নেতা দুধকুমার। — নিজস্ব চিত্র।
দিব্যি যাচ্ছিলেন বাজার করতে। আচমকা কী যে হল, মাঝপথে বাইক থামিয়ে পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন তিনি। এই ‘তিনি’ হলেন বীরভূমের বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। ঘটনা বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের। প্রথমে একা, তার পর দুধকুমারের দেখাদেখি জুটে যান আরও কয়েক জন বিজেপি সমর্থক। কিছু ক্ষণ তাঁরা পথ আটকে বিক্ষোভ দেখান বালি তোলার প্রতিবাদে। শেষমেশ পুলিশের পদক্ষেপের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেন দুধকুমার।
ময়ূরাক্ষী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা এবং রাস্তার উপর দিয়ে জল ঝরাতে ঝরাতে সেই বালি নিয়ে যাওয়া বন্ধের দাবি এই এলাকার দীর্ঘদিনের। ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা এর আগে একাধিক বার কোটাসুর বাজারে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। পথ অবরোধও করেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরস্বতী পুজোর সকালে বাড়ির জন্য সেই রাস্তা ধরেই সব্জি কিনতে বাজারে যাচ্ছিলেন দুধকুমার। সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎই বালির গাড়ির সামনে বাইক থামিয়ে দেন তিনি। শুরু হয় বিক্ষোভ। শুরুর দিকে দুধকুমারকে একাই পথ অবরোধ করতে দেখা যায়। তার পর সেখানে জুটে যান আরও কয়েক জন বিজেপি কর্মী, সমর্থক। পুরোদমে শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। দুধকুমার বলেন, ‘‘আজ সরস্বতী পুজোর দিন। ছোট ছোট মেয়েরা শাড়ি পরে রাস্তায় বেরিয়েছে। আর বালি ভর্তি লরিগুলি জল ছেটাতে ছেটাতে চলেছে। রোজ দেখছি এই অবস্থা। মানুষ বেরোতে পারছে না। প্রশাসন নীরব, নির্বিকার। কার পকেটে টাকা ঢুকছে? সাধারণ মানুষ কেন এ জন্য ভুগবে? এটা চলতে পারে না। তাই আমি প্রতিবাদ করেছি। আজ সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকব। কোনও ছাড়াছাড়ি নেই।’’
নেতা না ছাড়ার কথা বললেও ঘটনাস্থলে চলে আসে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গেও একপ্রস্থ বচসা হয় দুধকুমারের। তার পরেই পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে ভরসা রাখতে দেখা যায় নেতাকে। আধঘণ্টা পর পথ অবরোধ তুলে নেন বিজেপি নেতা। বাইকে করে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাজার অবশ্য আর যাওয়া হয়নি দুধকুমারের।