প্রচার বিতর্কে জড়ালেন দুধকুমার

বিনা অনুমতিতে ভোট প্রচারের বিতর্কে জড়ালেন রামপুরহাটের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। দুধকুমারবাবুর অবশ্য পাল্টা দাবি, তাঁর গাড়ি আটক করে রাখে তৃণমূলের লোকজন। তিনি প্রচারে যাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৬ ০২:০৩
Share:

বিনা অনুমতিতে ভোট প্রচারের বিতর্কে জড়ালেন রামপুরহাটের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। দুধকুমারবাবুর অবশ্য পাল্টা দাবি, তাঁর গাড়ি আটক করে রাখে তৃণমূলের লোকজন। তিনি প্রচারে যাননি। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, রামপুরহাট বিধানসভার অন্তর্গত মহম্মদবাজারের গনপুরে।

Advertisement

কী ঘটেছিল এ দিন?

দুধকুমারবাবুর দাবি, গনপুরে তিনি এ দিন কোনও প্রচারে যাননি। তাঁর গাড়িতে বা কাছে কোনও পতাকা বা প্রচার পত্রও ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘এক পরিচিতের বাড়ি গিয়েছিলাম। গাড়িটি গনপুর পঞ্চায়েত কার্যালয়ের কাছে ছিল। ফিরে দেখি গাড়ি ও চালককে ঘিরে রেখেছে তৃণমূলের লোকজন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার পূর্ব পরিচিত ওই এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গৌতম মণ্ডল আসেন। কার্যত তাঁর হস্তক্ষেপেই কোনও গণ্ডগোল হয়নি। গৌতমবাবুকে বলি, যদি কোনও আইন ভেঙে থাকি তাহলে প্রশাসনকে জানান।’’

Advertisement

ঘটনাস্থলে বিডিওর প্রতিনিধিরা আসার পর দুধকুমারবাবুর গাড়ি ছেড়ে দেয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। গৌতমবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘উনি গ্রামের ভিতরে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলেন। তাই স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করেছিলেন।’’

ওই গ্রামের তৃণমূল কর্মীদের ও দাবি, দুধকুমারবাবু গ্রামে বিনা অনুমতিতে প্রচার করছিলেন, তাই তাঁর গাড়ি আটক করে বিডিওকে জানানো হয়। ঘটনা হল, বেশ কয়েক দিন আগের প্রচারে নামলেও এমন অভিযোগ প্রথম উঠল দুধকুমারবাবুর বিরুদ্ধে। কী বলছে প্রশাসন? বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ফোনে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী টিম ঘটনাস্থলে যায়। দুধকুমারবাবুর সঙ্গে কথা বলেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। এবং তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, বিনা অনুমতিতে কোথাও এভাবে প্রচার করা যাবে না। তারপর তিনি চলে যান। এ ব্যাপারে সদর মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement