প্রতীকী ছবি।
পুলিশের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাল বিজেপি। গত ৬ জানুয়ারি বিজেপির ‘অভিনন্দন যাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই ঘটনায় চার পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে তাদের কর্মীদের উপরে। বুধবার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও দলের কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির সদস্য বিপি সিংহদেও।
বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ তাদের মিছিলে লাঠি চালায়। আবার তাদের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, ওই দিন লোকালয়ে কুশপুতুল পোড়াচ্ছিলেন বিজেপির কিছু নেতাকর্মী। অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকায় তাঁদের সেই কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। তখনই পুলিশকে তাক করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন মিছিলে থাকা লোকজন।
ওই ঘটনায় বিজেপির ২৭ জন নেতাকর্মী-সহ মোট তিনশো জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় অভিযুক্ত দলের জেলা সভাপতি ও সাংসদ। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিদ্যাসাগরবাবুর অভিযোগ, ‘‘ঝালদায় আমাদের কর্মসূচির দিন গোলমাল পাকিয়েছিল পুলিশ. তারপর পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা রুজু করেছে। রাতের অন্ধকারে গ্রামে গ্রামে হানা দিচ্ছে পুলিশ। আমাদের কর্মীদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে।’’ পুলিশের এই আচরণের জেরে বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক ক্ষোভও তৈরি হচ্ছে বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার। জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, ‘‘যে কোনও দিন জনরোষ তৈরি হতে পারে। এমন আশঙ্কাও রয়েছে। এ দিন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়টিই জানিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রশাসন দায়ী থাকবে।’’ এ দিন ঝালদার ইলু, ডিবরিটিকর-সহ কয়েকটি গ্রামে দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যান জ্যোতির্ময়বাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এর মোকাবিলা করব।’’ পুলিশ অবশ্য বিজেপির অভিযোগ মানেনি। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘ওঁরা ওঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। তার সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে।’’