Bishnupur

নতুন রূপে সাজছে মহকুমা গ্রন্থাগার

ইতিহাস বলে, ১৯০৪-এ সাধারণ পাঠাগার নামেই গ্রন্থাগারটির পথচলা শুরু। তবে নানা সমস্যায় মাঝপথে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৩২-এ কয়েক জন বিষ্ণুপুরবাসীর উৎসাহে ফের তা চালু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৪০
Share:

বিষ্ণুপুর মহকুমা গ্রন্থাগার। নিজস্ব চিত্র

নতুন আঙ্গিকে সেজে উঠছে বিষ্ণুপুরের মহকুমা গ্রন্থাগার। পাঠকক্ষ সংস্কার, সৌন্দর্যায়ন ও আধুনিকীকরণ ছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বইপত্র কিনতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সেই সঙ্গে লোডশেডিংয়ের সমস্য়া মেটাতে জেনারেটর এবং কম্পিউটারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। গ্রন্থাগারের কাজে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে জানিয়ে মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মহকুমা গ্রন্থাগারটি সংস্কারের জন্য আবেদন জানাচ্ছিলেন কমিটির কর্মকর্তা থেকে পড়ুয়ারা। জেলাশাসকের উদ্যোগে নতুন করে সাজানো হচ্ছে গ্রন্থাগারকে। ছাত্রছাত্রীদের উপযোগী কয়েক লক্ষ টাকার বইপত্র থাকবে গ্রন্থাগারে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার সৃদুশ্য দু’টি পাঠকক্ষ-সহ গ্রন্থাগারটির উদ্বোধন করবেন জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার।

Advertisement

ইতিহাস বলে, ১৯০৪-এ সাধারণ পাঠাগার নামেই গ্রন্থাগারটির পথচলা শুরু। তবে নানা সমস্যায় মাঝপথে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৩২-এ কয়েক জন বিষ্ণুপুরবাসীর উৎসাহে ফের তা চালু হয়। এর পরে, ১৯৭৪-এ বাঁকুড়া জেলায় একটি মহকুমা গ্রন্থাগার স্থাপনের প্রস্তাব আসে। তখনই বিষ্ণুপুর সাধারণ গ্রন্থাগার মহকুমা গ্রন্থাগারের সরকারি অনুমোদন পায়। সম্পাদক ও সভাপতি নিয়ে ১৫ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। যদিও কর্মীর অভাব এখনও বড় সমস্যা বলে জানাচ্ছেন কমিটির কর্মকর্তারা।

শতবর্ষ প্রাচীন গ্রন্থাগারটি নতুন করে সেজে ওঠায় খুশি বিষ্ণুপুরবাসীর বড় অংশ। অঙ্কিতা দাঁ, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, অনির্বাণ মণ্ডলের মতো বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যুবক-যুবতীদের দাবি, “গ্রন্থাগারে নিয়মিত পড়াশোনা করতে যাই। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মূল্যবান বইপত্র এসেছে শুনে ভাল লাগছে। এ বারে প্রস্তুতিতে অনেক সুবিধা হবে।” গ্রন্থাগারিক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গ্রন্থাগারে বর্তমানে বই রয়েছে ১৭,৮৪৭টি। কর্মীর সঙ্কট থাকায় সোম, বুধ ও শুক্রবার বিষ্ণুপুর মহকুমা গ্রন্থাগার এবং মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার বাঁকাদহ গ্রন্থাগারে থাকি। যদিও প্রথম ও তৃতীয় শনিবার এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী অন্য গ্রন্থাগার থেকে এসে মহকুমা গ্রন্থাগার খোলার ব্যবস্থা করেন। পাঠকদের চাহিদাযথেষ্ট রয়েছে। কর্মী নিয়োগ হলে সে সমস্যা মিটবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement