জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। সিউড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
বছর কয়েক আগে সরস্বতী পুজোয় জেলা স্কুলের সাজ সজ্জা ছিল এলোমেলো চেয়ার টেবিল! সেই সব অবলম্বন করেই সাজানো হয়েছিল পুজো মণ্ডপ।
স্কুলের অঙ্কন শিক্ষক সারথি দাসের দাবি, ‘‘স্কুলে ব্যবহার করা ওই সব সামগ্রী দিয়েও যে ডেকোরেশন করা যায়, সেটাই দেখানো হয়েছিল।’’ এ বারের থিম জেলার পর্যটন কেন্দ্র। এ জন্য তিনি গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু করেছেন দু’দফায়। এবং সেই মতোই সেজে উঠছে এ বারের সরস্বতী মণ্ডপ।
প্রথম দফায় সারথিবাবুর সঙ্গী ছিলেন সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ইতিহাস শিক্ষক পার্থ শঙ্খ মজুমদার, হাই স্কুল শিক্ষক মলয় শঙ্কর মণ্ডল ও কলা ভবনের ছাত্র তারক দাস। দ্বিতীয় পর্বে জেলা স্কুলের কয়েক জন ছাত্রকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন তিনি। সারথিবাবু বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতন, তারাপীঠ, বক্রেশ্বর এসব পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও অনেক জায়গা ধরা হয়েছে ক্যামেরায়। জেলার মোট ৮৬টি জায়গাকে পর্যটনের উপযোগী করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে।’’
সঙ্গে ভাদু, লেটো, কবি, বাউল এরকম নানা লোক সংস্কৃতিকেও ভিডিও ক্যামেরায় ধরা হয়েছে। বাদ যায়নি জেলার কুটির শিল্প তাঁত, শোলা, কাঁসা, পেতলের মতো কুটির শিল্পও। এমনকী সিউড়ির মোরব্বাও রয়েছে ডেকোরেশনের অঙ্গ হিসাবে। তবে বেশির ভাগটাই দেখানো হবে তিনটি প্রজেকশন মেশিনের সাহায্যে। আর স্কুল চত্বরের বিরাট মাঠে বীরভূমের ম্যাপে সাজানো হবে বিভিন্ন যানবাহনের সাড়ে ৩০০ টায়ার দিয়ে। সেগুলি ব্যবহার করা হবে গতির প্রতীক হিসাবে।
এ সবের সঙ্গে থাকছে আলো ও শব্দের ব্যবহার। সরস্বতী পুজোর দিন সকাল ১১টা থেকে পরের দিন রাত পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। জেলা স্কুলের ওই কাজে যুক্ত থাকতে পেরে দারুন খুশি কলাভবনের ছাত্র তারক দাস। তাঁর কথায়, ‘‘শিল্প প্রদর্শনী গ্যালারিতে কিছু সীমাবদ্ধ মানুষ দেখেন। কিন্তু এই কাজ প্রচুর মানুষ দেখবেন। জেলাকে বহু মানুষ নতুন করে চিনবেন।’’