সভা: (বাঁ দিক থেকে) ঝালদায় ফিরহাদ হাকিম ও আড়শায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের বারবার আদালতে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে সমালোচনায় সুর চড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। শনিবার পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা করেন রাজ্যের চার মন্ত্রী।
এই জেলায় কংগ্রেসের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত ঝালদার বাঁধাঘাটের একটি নির্বাচনী সভায় এ দিন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, ‘‘আদালত গিয়ে ওরা নির্বাচন বন্ধ করতে চাইছে।’’ একই মন্তব্য করেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এ দিন আড়শার হেরোডি গ্রামে সভায় সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘উন্নয়ন কী ভাবে করতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে সারা দেশের মানুষের সুদিন ফিরে আসবে। কিন্তু, এ রাজ্যের বিরোধীরা ভোট চায় না। তাই কোর্টে যায়। কারণ ভোটে তাঁদের জামানত জব্দ হবে।’’
ফিরহাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে তৃণমূলেরই পাঁচ জন খুন হয়েছেন। এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন— ‘‘আমরা কেন খুনখারাপি করতে যাব? কেন আমরা বোমা মারতে যাব? আমাদের হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন রয়েছে। তিনি সাত বছরে বাংলায় যে উন্নয়ন করেছেন, তা মানুষের সামনে রেখেই আমরা ভোট চাইছি।’’
স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোকে উদ্দেশ করে ফিরহাদ দাবি করেন, ‘‘শুক্রবার একই ট্রেনে আমরা আসছিলাম। এখানকার বিধায়ককে বললাম, ‘কংগ্রেস করা মানেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা। পাশাপাশি বিজেপির মাটি শক্ত করা, বিজেপিকে ডেকে নিয়ে আসা।’’ যা শুনে নেপালবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ঠিকই। বিভিন্ন বিষয়ে কথাও হয়েছে। তখন তো বলেছিলেন, বিজেপির জমি পাওয়া থেকে এই জেলায় কংগ্রেসের শক্তিশালী হওয়া ভাল। এখন দেখছি উল্টো কথা বলছেন! এটা ফিরহাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করিনি।’’
ওই সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের আইন ও বিচার এবং শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন প্রমুখ। শান্তিরামবাবু দাবি করেন, ‘‘আমাদের হাতে পঞ্চায়েত সমিতি আসার পরে কী ভাবে এলাকার উন্নয়ন হয়েছে, তা প্রতিদিন এই এলাকার মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। ঝালদা থেকে পুরুলিয়া শহরে পৌঁছতে আগে যা সময় লাগত, এখন ঝাঁ চকচকে রাস্তা হওয়ায় অর্ধেক সময়ে শহরে পৌঁছনো যাচ্ছে।’’
পরে সেচমন্ত্রী বলরামপুরে সভা করেন। সাঁওতালডিহির ১ গেটের মাঠে সভা করেন ফিরহাদ। পাড়াও রঘুনাথপুর ২ ব্লকের কর্মীরাউপস্থিত ছিলেন।