জয়ের পরে দুধকুমার মণ্ডল। ছবি: কল্যাণ আচার্য
ভোট লুট রুখতে নির্বাচনের দিন গ্রামে ঢোকার মুখে শিবির খুলেছিলেন তিনি। পরিচয়পত্র ছাড়া সেখানে ঘেঁষতে পারেনি বহিরাগত কেউ। সেই ছকেই ভোট-ময়দানে জিতলেন বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। শ’তিনেক ভোটের ব্যবধানে পরাস্ত করলেন তৃণমূল প্রার্থীকে। ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণবহড়ায়।
তাঁর জয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সিউড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপিকে গাল দেওয়ার জন্য ওকে রেখে দিয়েছি। একটা পদ্মফুল তো রাখতে হবে।’’
নির্বাচনের আগে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া রুখতে এসডিও, বিডিও অফিসের সামনে ‘উন্নয়ন-বাহিনী’ মোতায়েন করার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব তেমন অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠিক ওই কায়দাতেই ছাপ্পা ভোট, ভোট লুট রোখার ছক কষেছিলেন দুধকুমার। ভোটের দিন সাংবাদিকেরাও পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাঁর নিবার্চনী-কেন্দ্রে ঢুকতে পেরেছিলেন।
বৃহস্পতিবার অবশ্য নিজেই গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি বিজেপির ওই নেতা। দুধকুমারবাবুর অভিযোগ, বৈধ পরিচয়পত্র থাকলেও এজেন্ট সহ তাঁকে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এক জনের বেশি গণনাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। দুধকুমারবাবুর নালিশ, বিরোধী শিবিরের কোনও এজেন্ট ছিলেন না সেখানে।
কুণ্ডলা পঞ্চায়েতের কোটাসুরের বাসিন্দা হলেও এ বার নিজের গ্রাম ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণবহড়ায় প্রার্থী হয়েছিলেন দুধকুমার। এক সময় তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কথায় ‘টক্কর’ দিতেন তিনিও। রাজনৈতিক শিবিরের খবর, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ‘মতানৈক্যের’ কারণে রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের দলে ফিরে আসেন। এ দিন দুধকুমার বলেন, ‘‘সব জায়গায় এ ভাবে ছাপ্পা, ভোট লুট রুখতে পারলে ফলাফল একেবারেই অন্য রকম হতে পারত।’’