পথের জটে জেরবার জেলা সদর

এই সমস্যা সমাধানে গত বছর সমস্যা মেটাতে পুজোর আগে বঙ্গ বিদ্যালয়ের মাঠে পুর-ভবনের সামনে অস্থায়ী ভাবে ও জেলা পোস্টঅফিসের উল্টো দিকে, রাস্তার পাশে টিনের ছাউনি গড়ে স্থায়ী ভাবে গাড়ি রাখার জায়গা গড়েছিল পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

সার দিয়ে দাঁড় করানো মোটরবাইকের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

পুরসভার আশ্বাসই সার। বাঁকুড়া শহরের চকবাজারে পুজোর কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের গাড়ি রাখার জায়গা খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপরেই মোটর বাইক রেখে দোকানে ঢুকছেন ক্রেতারা। বাড়ছে যানজটের সমস্যা।

Advertisement

এই সমস্যা সমাধানে গত বছর সমস্যা মেটাতে পুজোর আগে বঙ্গ বিদ্যালয়ের মাঠে পুর-ভবনের সামনে অস্থায়ী ভাবে ও জেলা পোস্টঅফিসের উল্টো দিকে, রাস্তার পাশে টিনের ছাউনি গড়ে স্থায়ী ভাবে গাড়ি রাখার জায়গা গড়েছিল পুরসভা। এখন ছাউনির তলায় পসরা নিয়ে বসে ব্যবসা করেন বহু হকার। অভিযোগ, বঙ্গ বিদ্যালয় বা পুরসভার সামনে এ বার যানবাহন রাখার কোনও ব্যবস্থা করেনি পুরসভা।

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বহু আগেই বৈঠক করে পুরসভাকে পুজোর কেনাকাটা করতে আসা মানুষের জন্য ‘কার পার্কিং প্লেস’ গড়তে বলেছিলাম। তা হয়নি। যানবাহন রাখা নিয়ে সমস্যা চলছে।”

Advertisement

পুজোর কেনাকাটার জন্য ফি বছর বাঁকুড়ার সুভাষ রোড এলাকায় ব্যাপক ভিড় হয়। যেখানে সেখানে গাড়ি রাখা এবং রাস্তায় অতিরিক্ত যান চলাচলের জন্য ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজট হয়। সমস্যা এড়াতে গত বছর থেকেই পুজোর কেনাকাটা চলাকালীন বিকেলের পর থেকে সুভাষ রোডে টোটো, চার চাকা গাড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ। এ বারও তারা একই পদক্ষেপ করায় যানজট এড়ানো সম্ভব হয়েছে অনেকটাই। কিন্তু গাড়ি রাখার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতারা।

বাঁকুড়ার প্রতাপবাগানের বাসিন্দা শিক্ষক মুকেশ পাত্র বলেন, “কেনাকাটা করতে এসে মোটরবাইক কোথায় রাখব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। রাস্তার পাশের দোকানদারেরা আপত্তি তুলছেন। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপরেই রেখেছি।”

বাঁকুড়ার পাঠকপাড়ার যুবক সন্দীপ সরকার বলেন, “সুভাষ রোডে রাস্তার উপরেই কোথাও কোথাও মোটর বাইক রাখা হচ্ছে। এর ফলে যানজট হচ্ছে। বাঁকুড়া শহরে পার্কিং সমস্যা নিয়ে স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে এ বার ভাবা দরকার।”

কেবল বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দারাই নন, বহু গ্রামের মানুষও শহরে আসেন কেনাকাটা করতে। মোটর বাইক রাখতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা। পোয়াবাগানের বাসিন্দা সুরেশ মহাপাত্র বলেন, “গত বছর পুজোয় বাঁকুড়ায় কেনাকাটা করতে গিয়ে মোটর বাইক রেখেছিলাম পুরসভার তৈরি পার্কিং প্লেসে। কিন্তু এ বার সেই ব্যবস্থা করা হয়নি। বাজারের ভিতরে গাড়ি রাখার জায়গাও পাচ্ছি না। খুব মুশকিলে পড়েছি।”

ক্রেতাদের দাবি, অবিলম্বে পুরসভা পার্কিং প্লেস গড়ার উদ্যোগ নিক। এ বিষয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “পোস্ট অফিসের

উল্টো দিকে আমরা স্থায়ী ভাবে গাড়ি রাখার জন্য যে ছাউনির ব্যবস্থা করেছিলাম, সেখানে হকারেরা বসে পড়েছেন। তবে অন্য জায়গায় পার্কিং প্লেস গড়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement