Crime Against Women

গর্ভপাতে মৃত্যু, ২৫ বছর পরে সাজা ঘোষণা

সরকার পক্ষের আইনজীবী রূপক ভট্টাচার্য জানান, ১৯৯৮-এর ৭ জুলাই রাতে নিখোঁজ হন ওই তরুণী। পরের দিন থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তাঁর পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৬
Share:

২৫ বছ পর সাজা ঘোষণা। প্রতীকী চিত্র।

‘প্রেমিকা’র গর্ভপাতের জন্য হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন যুবক। গর্ভপাত চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পরে মেয়েটির দেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে। প্রায় ২৫ বছর আগে বাঁকুড়া জেলায় ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক ও হাতুড়ে ডাক্তারকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া আদালত। সোমবার বাঁকুড়ার দ্রুত নিষ্পত্তি আদালতের বিচারক তীর্থঙ্কর ভট্টাচার্য ওই রায় দেন।

Advertisement

সরকার পক্ষের আইনজীবী রূপক ভট্টাচার্য জানান, ১৯৯৮-এর ৭ জুলাই রাতে নিখোঁজ হন ওই তরুণী। পরের দিন থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তাঁর পরিবার। তল্লাশিতে নেমে একটি জঙ্গল থেকে তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে, তাঁর ‘প্রেমিক’ সন্দীপ কুণ্ডুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, গর্ভবতী হয়ে পড়া ওই তরুণীকে এক হাতুড়ে ডাক্তার সুব্রত চক্রবর্তীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গর্ভপাতের জন্য। সেখানেই তরুণীর মৃত্যু হয়। পরে ওই হাতুড়ে ডাক্তার-সহ কয়েক জনের সাহায্য নিয়ে তাঁর দেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্দীপ, সুব্রত-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তরুণীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শুরু করে ধাপে ধাপে সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সকলেই জামিনে মুক্তি পান। মামলার শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। আর এক অভিযুক্ত প্রমাণের অভাবে খালাস পান। শুক্রবার আদালত সন্দীপ ও সুব্রতকে দোষী সাব্যস্ত করে।

রূপক বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যুর ফলে আইপিসির ৩১৪ (১) ধারায় সন্দীপ ও সুব্রতকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ওই মামলায় তিন বছরের জেলের নির্দেশ হয়েছে। পাশাপাশি, দু’জনেরই ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাস জেলের নির্দেশ হয়েছে।” মামলার রায়দান দীর্ঘায়িত হওয়া নিয়ে রূপক বলেন, “নানা আইনি জটিলতা, সম্পূর্ণ সাক্ষ্য গ্রহণে দেরি হওয়ার মতো নানা কারণে দীর্ঘায়িত হয়েছে মামলাটি।” চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের তরফে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement