আদালত অবমাননার অভিযোগে এসডিপিও (রামপুরহাট) কমলচন্দ্র বৈরাগ্য এবং খয়রাশোল থানার ওসি পার্থসারথি মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বোলপুর আদালত।
মঙ্গলবার সরকারি আইনজীবী সুপ্রকাশ হাটি বলেন, “জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ২৪-২৫ জানুয়ারি দু’জনেই সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়।”
সরকারি আইনজীবী আরও জানান, ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে পৌষের ভাঙা মেলায় একটি ১০০০ টাকার জাল নোট বাবলু দাস নামে সাঁইথিয়া থানার সিউর গ্রামের এক যুবক আসল বলে চালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় বাবলুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মেলার দুই দোকানি (হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকড়ার বাসিন্দা দোকানদার সমীর দেবাংশী এবং তাঁর পাশের দোকানদার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা গৌতম কারার)। ওই মামলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর বোলপুর আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪৮৯বি ও ৪৮৯সি ধারায় চার্জ গঠন করা হয়।
চার্জ গঠনের পরে ওই মামলায় গত ২৪-২৫ নভেম্বর মোট ছ’জনের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য বিচারক দিন ধার্য করেন। ছ’জনের মধ্যে পুলিশের এএসআই রবি চৌধুরী এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি টাঁকশালের জেনারেল ম্যানেজার আদালতে সাক্ষ্য দেন। বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন। বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের ফের ২-৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। কিন্তু দু’দিনই বাকি সাক্ষীরা ফের আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। সুপ্রকাশবাবু বলেন, ‘‘বারবার সাক্ষ্যদানে গরহাজির থাকায় অভিযোগকারী দুই দোকানদার, বোলপুর থানার তৎকালীন আইসি কমলচন্দ্র বৈরাগ্য এবং শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন আইসি পার্থসারথি মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’’ বিচারক মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ফের আগামী ২৪-২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য হয়েছে।