নৃত্যাঙ্গন: আদিবাসী গানের সুরে মাতলেন অনুব্রত মণ্ডল, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরী। শুক্রবার মহম্মদবাজারে। নিজস্ব চিত্র
বোলপুরের পরে মহম্মদবাজার।
আদিবাসী গানের সুরে ফের কোমর দোলালেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে আদিবাসী পোশাকে শুক্রবার নাচে সামিল হলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীও। শুক্রবার মহম্মদবাজারে, বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের এক অনুষ্ঠানে। দিন কয়েক আগে বোলপুরে যে আদিবাসী শিল্পীর গানে নেচে উঠেছিলেন অনুব্রত, সেই রথীন কিস্কু উপস্থিত ছিলেন এখানেও। ঝাড়গ্রামে বৃহস্পতিবার বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন— ‘আমার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। দূরে সরে যাবেন না।’ শুক্রবার মহম্মদবাজারে সেই একই সুর বজায় রাখলেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা।
বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্তির সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে জেলায় দলের প্রধান ‘সৈনিক’ অনুব্রত বলেন, ‘‘আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো। আপনারা দাবি করবেন। আমরা দাবি পূরণ করব। আপনারা দাবি থেকে সরে যাবেন না। কোনও দলের পাল্লায় পড়বেন না। আপনাদের উপকার করার ক্ষমতা ওদের নেই। তৃণমূল আপনাদের সঙ্গে থাকে। আমি আদিবাসী সমাজকে বলবো, যদি কোনও প্রয়োজন হয় ডিএম, এমপি-কে লিখিত ভাবে জানান। আমরা দেখে দেব।’’ মুখ্যমন্ত্রীর উপরে আস্থা রাখার কথা বলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ঝাড়গ্রামের মতো আদিবাসী অধ্যুষিত মহম্মদবাজারেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছুটা হলেও খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সরকার আদিবাসীদের জন্য কোথায় কী কী কাজ করছে, সেই বিষয় তুলে ধরার সঙ্গে পাশে থাকার আর্জিও জানান তাঁরা। শুধু বক্তব্য নয়, আদিবাসী পোশাক পরে আদিবাসী ছাত্রীদের নাচের তালে পা মেলান আশিসবাবু, বিকাশবাবু। পরে তাঁদের সঙ্গে নাচের তালে কোমর দোলান অনুব্রতও।
মহম্মদবাজারের ব্লক সংলগ্ন মাঠে বিশাল অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলার পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল, আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী সমাজের গুণী ব্যক্তিবর্গ। ছিলেন বিধায়কেরাও। কী কী প্রকল্প আদিবসীদের জন্য রয়েছে, কোন প্রকল্পে কত জন আদিবাসী সুবিধা পেয়েছেন, তার সবিস্তার ব্যাখ্যা করেন জেলাশাসক ও দফতরের কর্তারা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধাপ্রদান ও কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধিত করা হয়। ছিল সরকারি স্টল।