ডাকবাংলো মাঠে তৃণমূল জেলা কমিটির বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
বীরভূমের ১৬৭ জন, মঙ্গলকোটের ১৮ জন, কেতুগ্রামের ১৭ জন এবং আউশগ্রামের ১৬ জন অঞ্চল সভাপতিকে নিয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক হল বোলপুর ডাকবাংলো স্টেডিয়ামে। নলহাটি ১ এর চার অঞ্চল সভাপতি, খয়রাশোলের দশ অঞ্চল সভাপতি সহ আরও কিছু জন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় এ দিন কড়া শিক্ষকের ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডলকে। ব্লক সভাপতিদের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে তাঁদের কাজ করার ইচ্ছে নেই। সরিয়ে দাও, হঠাও তাঁদের।’’
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি ব্লকে শুরু হতে চলেছে মহিলা জনসভা। চলবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত। এ দিনের বৈঠকে সভাপতিদের জানানো হয়, প্রত্যেক মহিলা জনসভায় কমপক্ষে ২০-২৫ হাজার মহিলা উপস্থিত করতে হবে। সভার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশের অনুমতি ব্লক সভাপতিদের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মসূচি অনুযায়ী মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকলে ঘেরা জায়গায় সভা করতে হবে। কোনও পরিস্থিতিতেই নির্ধারিত তারিখের কোনও পরিবর্তন হবে না। কেবল রাজ্যের কোনও অনুষ্ঠান থাকলে তখন জেলার অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করা হবে।
জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি আলিপুরের উত্তীর্ণ হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সমস্ত ব্লক সভাপতি, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি, পুরসভার পুরপ্রধান, উপপুরপ্রধান এবং শাখা সংগঠকদের উপস্থিত থাকতে হবে। তার আগে সদস্য পদের জন্য দরখাস্ত পূরণ করে তা ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে। অনুব্রত অঞ্চল সভাপতিদের প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি আদৌ বুথ সভাপতিরা কী করছে খোঁজ নেন? বুথে বুথে যান? তাঁরা মিটিং করেন কিনা খবর নেন?’’
দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতেও এ দিন বার্তা দেন অনুব্রত। জেলা তৃণমূলের সভাপতির কথায়, ‘‘নিজেদের মধ্যে অশান্তি করলে চলবে না। নতুন বা পুরোনো সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’’ সতর্ক করেন বিজেপির সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়েও। তাঁর কথায়, ‘‘এত সভা, বৈঠক পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নয়। দিল্লি থেকে বিজেপিকে হঠাতে হবে। না হলে ভয়ঙ্কর কালো দিন আসতে চলেছে।’’