n জলের কাছে। নিজস্ব চিত্র
প্রবল গরমে সবারই প্রাণ হাঁসফাঁস। ছাউনির ছায়া ছেড়ে কেউ যেন মাঠে নামতেই চাইছে না। তাই গুড় জল এবং ওআরএসের ব্যবস্থা করা হয়েছে চিতল হরিণ, হনুমান, বাঁদর, মেছো বিড়াল, শ্লথ ভালুকদের জন্য।
এ ছাড়া খাবারের তালিকায় বেছে বেছে রসালো ফল রাখা হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই জল ছড়িয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের থাকার ছাউনি। পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে সুরুলিয়া মিনি জ়ু-র বন্যপ্রাণীদের গরমে সতেজ রাখতে এমনই নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই মিনি জ়ু-তে রয়েছে চিতলহরিণ, সম্বর, শ্লথ ভালুক, ময়াল, মদনটাক, হনুমান, সজারু, বাঁদর, বনমুরগি, সোনালি তিতির, রূপোলি তিতির, ময়ূরী লেডি আমহার্স্ট-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। একেক জনের খাদ্যাভাস ভিন্ন। তবে সবাই যাতে এই গরমে সুস্থ থাকে, সে দিকেই তাঁরা নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন এই চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা সঙ্গীতা মণ্ডল ও সৌমেন মণ্ডল।
তাঁরা বলেন, ‘‘এখানে ৪৬টি চিতল হরিণ রয়েছে। তাদের খাবার জল এখন দিনে তিন বার বদলে দিচ্ছি। না হলে জল গরম হয়ে যাচ্ছে। জীবজন্তুদের খড়ের ছাউনিও তেতে যাচ্ছে। তাই স্বস্তি দিতে খড়ের ছাউনি সকাল, বিকেল পাইপের জল ছড়িয়ে ভেজানো হচ্ছে।’’ তাঁরা জানান, পশুদের খাবারেও বদল আনা হয়েছে। বেশি করে শসা, লাউ, তরমুজ, গুড়-জলের মিশ্রণ, ওআরএস দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মিনি জ়ু দেখতে এসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রাকেশকুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা, রাঁচী, জামশেদপুর, ওড়িশার নন্দনকাননের চিড়িয়াখানা দেখেছি। পুরুলিয়াতেও চিড়িয়াখানা রয়েছে শুনে দেখতে এলাম। এই প্রবল গরমে বন্যপ্রাণীদেরও খুব কষ্ট হয়। তবে দেখলাম, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ গরমের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য ওদের জন্য পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রেখেছেন।’’