নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে শনিবার হিড়বাঁধ ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলের ধানারাঙি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন কিছু বাসিন্দা। মঙ্গলবার ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের ব্লক আধিকারিক মৃদুল চক্রবর্তী। পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনার পরে ওই কেন্দ্রের কর্মীকে বদলির আশ্বাস দেওয়ার পরে ওই কেন্দ্রের তালা খোলা হয়। নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ এ দিনও মানতে চাননি ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।
ধানারাঙি গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশু, প্রসূতি মিলিয়ে ১১৮ জনকে খাবার দেওয়া হয়। গ্রামবাসী মৃত্যুঞ্জয় প্রামাণিক, জনার্দন প্রামানিক, উজ্জ্বল মাহাতোদের অভিযোগ, “বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। ওই কর্মীকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। শুক্রবারেও বিষয়টি কর্মীকে জানানো হয়েছিল। শেষে বাধ্য হয়ে শনিবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’ তাঁরা জানান, ওই কর্মীকে বদলির পাশাপাশি খাবারের মান যাতে ঠিক থাকে তা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সিডিপিও। তাই এ দিন তাঁরা তালা খুলে দেন।
যদিও এ দিন তালা খুললেও রান্না হয়নি। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কল্পনা মাহাতো অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাবারের জন্য যে সামগ্রী ও বরাদ্দ অর্থ পাই সেই অনুপাতেই রান্না করা হয়। খাবারের মান খারাপ নয়। তা সত্ত্বেও এলাকার কিছু মানুষ আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ করে দেন।” সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের হিড়বাঁধ ব্লকের আধিকারিক মৃদুল চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজর শিউলি মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধানারাঙি গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু অভিযোগ জানিয়েছেন। সমস্যার কথাও বলেছেন তাঁরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই কর্মীকে খুব শীঘ্রই বদলি করে নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে। আপাতত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”