লাভপুরে অভিযুক্ত বিএমওএইচ

কাজ করিয়েও কম সাম্মানিক

জাতীয় স্বাস্থ্য বিধান কর্মসূচিতে কাজ করেও প্রাপ্য সাম্মানিক মেলেনি। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে বেতন আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন লাভপুর ব্লকের গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রশাসনের সকল স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

অর্ঘ্য ঘোষ

লাভপুর শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০২:৩২
Share:

জাতীয় স্বাস্থ্য বিধান কর্মসূচিতে কাজ করেও প্রাপ্য সাম্মানিক মেলেনি। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে বেতন আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন লাভপুর ব্লকের গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রশাসনের সকল স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় কুষ্ঠ দূরীকরণ কর্মসূচিতে অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মীদের পাশাপাশি রাজ্যের গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য (সিএইচজি) কর্মীদেরও নিয়োগ করা হয়। ওই প্রকল্পে এক জন মহিলা ও পুরুষ কর্মীর গ্রামে গ্রামে গিয়ে দৈনিক ২৫টি পরিবারে সমীক্ষা এবং প্রতিষেধক বিলির জন্য মাথাপিছু ৫০ টাকা হারে সর্বাধিক ১৪ দিনের সাম্মানিক পাওয়ার কথা। কিন্তু নিয়ম মাফিক কাজ করেও সেই প্রাপ্য টাকা তাঁদের প্রশাসন দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

জনস্বাস্থ্য কর্মী সংগঠনের লাভপুর ব্লক সভাপতি পূর্ণচন্দ্র কর্মকারের দাবি, তাঁরা নিয়মমাফিক ১৪ দিন করে কাজ করেছেন। কাউকে কাউকে ১৬ দিনও কাজ করানো হয়েছে। কিন্তু অনেককেই ফাঁকা বিলে সই করিয়ে হাতে ২০০-২৫০ টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কম নিতে অস্বীকার করায় অনেকে আজও টাকা পাননি। তাঁর অভিযোগ, কর্মীদের শ্রমের টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক ওয়াজুল হক বলছেন, ‘‘প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগে বিএমওএইচ ৫০ টাকা হারে সাম্মানিক দেওয়া হবে বলেছিলেন। কিন্তু দেওয়ার সময় সাফ জানিয়ে দেন— ‘যাকে যা দেওয়া হচ্ছে, তাকে তা-ই নিতে হবে। কোনও প্রতিবাদ বা কোথাও মুখ খোলা চলবে না’। পরবর্তী কালে কাজ না পাওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই তাই কম টাকা নিতে বাধ্য হয়েছেন।’’

Advertisement

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে ফোন ধরেন অভিযুক্ত বিএমওএইচ বুদ্ধদের মুর্ম। তবে, এ নিয়ে প্রশ্ন করা মাত্রই ‘ব্যস্ত আছি’ বলে দু’বার ফোন কেটে দেন তিনি। তার পরে আর ফোন ধরেননি। ওই কর্মসূচির জেলা প্রকল্প আধিকারিক ইন্দ্রনীল চৌধুরী অবশ্য বলছেন, ‘‘এমনটা হওয়ার কথা নয়। নিয়ম মাফিক কাজ করলে কর্মীদের সর্বাধিক ১৪ দিনের জন্য ৫০ টাকা হারেই সাম্মানিক পাওয়ার কথা। সেই মতো প্রয়োজনীয় টাকা ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রতিলিপি পেয়েছি। তার পরেই বিষয়টি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও জানিয়েছি।’’

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানান, ওই অভিযোগের বিষয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর বিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা হয়েছে। ‘‘তিনি কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মুষ্টিমেয় কয়েক জন কম কাজ করে উদ্বৃত্ত টাকা দাবি করেছিলেন। সেই দাবি মতো টাকা না পেয়েই টাকা আত্মসাতের ভুয়ো অভিযোগ করছেন। তবু অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’’— আশ্বাস দিয়েছেন হিমাদ্রিবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement