এক বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী-সহ তিন জন। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার কমলাসায়ের গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মমতা মির্ধা (২৫)। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই বধূর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ওই দিন বিকেলে মৃতার বাবা শিবু দিগর পুলিশের কাছে জামাই-সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির চার জনের জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই পুলিশ ওই বধূর স্বামী যাদব মির্ধা, শাশুড়ি পুষ্পরানি মির্ধা এবং দেওর রঞ্জিত মির্ধাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই ওই বধূর শ্বশুর শ্যামলাল মির্ধা পলাতক। বুধবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার বছর আগে পাত্রসায়রের নারায়ণপুর অঞ্চলের কাঠালঘাটা গ্রামের বাসিন্দা শিবু দিগরের মেয়ে মমতার সঙ্গে ওই থানারই কমলাসায়ের গ্রামের বাসিন্দা পেশায় চাষি যাদব মির্ধার বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দেড় বছরের এক শিশুপুত্র রয়েছে। মৃতার বাবা শিবুবাবুর দাবি, “বিয়ের সময় সাধ্যমত যৌতুক দিয়েছিলাম। তারপরেও পণের দাবিতে মমতার উপরে অত্যাচার করছিল ওর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যরা। জামাই আমার কাছেও টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে পারব না বলেছিলাম। আমার সন্দেহ, সেই আক্রোশেই সোমবার রাতে আমার মেয়েকে খুন করেছে ওরা।’’ যদিও খুনের অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবি, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মমতাদেবী। তার জেরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই বধূর গলায় কালশিটে দাগ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।