বিজেপি আগেই তুলেছিল। এ বার তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়ার ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি মাধব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরির অভিযোগ তুলল খোদ প্রশাসন। মাধববাবু-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বুধবার ছাতনা থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ করেছেন করেছেন মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বা এসডিএলএলআরও (বাঁকুড়া সদর) রাধাগোবিন্দ চক্রবর্তী। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মাস ছ’য়েক আগে মাধববাবুর বিরুদ্ধে ছাতনার দুবরাজপুর এলাকায় মরুরগড়িয়া পুকুরের ১৩ শতক জায়গা (দাগ নম্বর-১০২) মাটি ফেলে সমতল করে বাড়ি বানানোর অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা বিজেপি-র সহ সভাপতি জীবন চক্রবর্তী। তিনি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও করেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। সেই অভিযোগে সত্যতা মিলেছে। অবশেষে এ দিন মাধববাবু-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এসডিএলআরও। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বিজেপির অভিযোগ পাওয়ার পরে ওই এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া হয়। অভিযুক্তের সঙ্গেও কথা বলা হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্তের পরে পুকুর ভরাট করার অভিযোগের সত্যতাই মিলেছে।” এই ঘটনার পরেই মাধববাবুকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে বিজেপি। গ্রেফতার না করলে আন্দোলনেও নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। জীবনবাবু বলেন, “এক জন সরকারি জনপ্রতিনিধি হয়ে কী করে পুকুর ভরাটের মতো বেআইনি কাজ করলেন ওই ব্যক্তি। মাধববাবুর কড়া শাস্তির দাবি তুলছি আমরা।”
জেলার এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, মাধববাবুর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁকে নোটিস দিয়ে থানায় ডাকা হবে। ছাতনা ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পরমেশ্বর কুণ্ডু বলেন, “বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে কেউ আইন বিরুদ্ধ কাজ করলে আইন তাঁকে সাজা দেবে। দল সেখানে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।” আর মাধববাবু নিজে বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে বলে জানি না। এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।”