আলোচনা: বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে ‘সিনার্জি’। —নিজস্ব চিত্র।
ব্যবসা করতে গিয়ে কোথাও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোগাচ্ছে গ্রামপঞ্চায়েত বা পুরসভা। কোথাও আবার জমির মিউটেশন, কনভারশন ঝুলে থাকছে মাসের পরে মাস। ‘সিনার্জি’-তে এই সমস্ত ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতরের প্রধান সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে জঙ্গলমহল জোনের (বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম) শিল্পপতিদের নিয়ে ওই সম্মেলন করে প্রশাসন। সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতরের রাজ্যের অধিকর্তা বিজয় ভারতী ও চারটি জেলার প্রশাসনের কর্তারা।
সম্মেলনে আলাপনবাবু বলেন, “ট্রেড লাইসেন্স, মিউটেশন, কনভারশনে এই দেরি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ।” এর পরেই মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে তিনি অনুরোধ করেন পঞ্চায়েত ও পুরসভার কাজে যাতে গতি আসে সেটা দেখার জন্য। পরে নিজের বক্তব্যে মন্ত্রী সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “শিল্পপতিদের যে কোনও অভিযোগ তাঁরা সরাসরি আমাকে বা জেলাশাসককে জানাতে পারেন। আমরা নিশ্চয় সমস্যাগুলি সমাধান করতে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।”
এ দিনের সম্মেলনে সচিবের কাছে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন শিল্পপতিরা। রাইস মিলের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের শুল্ক কমানো, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার মতো বিভিন্ন দাবি ওঠে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে আলাপনবাবুবাবু জানান, জঙ্গলমহলের জেলা চারটিতে এ দিন প্রায় ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব এসেছে। বাঁকুড়ায় ৫০টি, পুরুলিয়ায় ৪৭টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৪টি ও ঝাড়গ্রামে ১১টি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প গড়তে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন শিল্পপতিরা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই রাজ্যে জোন গড়ে গড়ে শিল্প সম্মেলন করার উদ্যোগ হয়েছে।’’ বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে মধুসূদন দরিপা, প্রবীর সরকাররা বলেন, “নানা জটে আটকে রয়েছে অনেক শিল্প। আলাপনবাবুবাবুর কাছে সমস্যাগুলি তুলে ধরেছি। কী হয়, সেটাই এ বার দেখার।’’
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন বাঁকুড়ায় শিল্প তালুক গড়ার জন্য জমির খোঁজ করছিল। এ দিন জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “শিল্প তালুক গড়ার জন্য রাইপুর ব্লকে ১২ একর জমি পাওয়া গিয়েছে।”