পসরা: বাঁধাকপি বেচছেন কৃষিমন্ত্রী। সোমবার রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র
রিকশা-বোঝাই বাঁধাকপি, শাক। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সে সব বিক্রি করলেন খোদ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। সোমবার সকালে এমনই কাণ্ড ঘটল রামপুরহাট শহরে।
কৃষি খামারে অব্যবহৃত জমিতে জৈব পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক ভাবে আনাজ চাষ করেছিলেন কৃষি দফতরের কর্মীরা। সেই আনাজই এ দিন বিক্রি করলেন কৃষিমন্ত্রী। তাঁর পাশে ছিলেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা।
এ দিন সকালে রামপুরহাট শহরের জিতেন্দ্রলাল পৌরমন্দিরে সে সব আনাজ বিক্রি করা হয়। ভ্যানে ছিল বাঁধাকপি, শাক। আধঘণ্টায় বিক্রি হয়ে যায় সব কিছু। মন্ত্রী জানান, আনাজ বিক্রি করে পাওয়া টাকা অন্য চাষে ব্যবহার করা হবে। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, জৈব সারের উপযোগিতা ও পতিত জমি ফেলে না রেখে কৃষকদের চাষে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের কোথাও অব্যবহৃত কৃষিজমি ফেলে রাখা যাবে না। চাষের কাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, কৃষকদের বিকল্প চাষে উৎসাহ দিতে কৃষি দফতর তৎপর।’’ মন্ত্রী আরও জানান, জমিতে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে কৃষি দফতর আলোচনাসভা থেকে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছে। অব্যবহৃত কৃষিজমি ব্যবহার করার জন্য দফতরের অধীন কৃষি খামারগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি খামারের অব্যবহৃত জমিতে আনাজ, ফল চাষ করা হচ্ছে। রামপুরহাট ২ ব্লকের কৃষি খামারে ১০ কাঠা জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শাক চায করা হয়েছে। তা করা হয়েছে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে। পরীক্ষামূলক ভাবে ওই চাষে উৎপন্ন আনাজ বিক্রি করে পরবর্তী চাষের ব্যবস্থা করা হবে।
শহরে ভ্যান-বোঝাই আনাজ নিয়ে ফেরি করছেন কৃষিমন্ত্রী— সেই খবর ছড়াতেই অনেকেই জিতেন্দ্রলাল পৌরমন্দিরে ভিড় জমান। কৃষি দফতরের রামপুরহাট ২ ব্লকের সহ-অধিকর্তা তথাগত দাস ও সংশ্লিষ্ট কৃষি খামারের কর্মীরা জানান, জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে খামারের অব্যবহৃত জমি কাজে লাগানো হয়েছে। কৃষিতে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পতিত জমিতে চাষে কৃষকদের আরও বেশি করে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।