মাথায় হেলমেট নেই। তাই পুলিশ দেখে এড়িয়ে দ্রুত গতিতে পালাতে গিয়েছিলেন মোটরবাইক চালক। অভিযোগ, মোটরবাইকটি ধরতে চালককে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এক সিভিক ভল্যান্টিয়ার। আর তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে ওন্দা বাজারের এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দুই মহিলা-সহ তিন জন মোটরবাইক আরোহী। পুলিশ জানিয়েছে, জখম শান্তনু দেবশর্মা, ভবানী চক্রবর্তী ও রুমা চক্রবর্তী ওন্দার ফুলবেড়িয়ার বাসিন্দা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এক সিভিক ভল্যান্টিয়ার লাঠি দিয়ে আঘাত করায় টাল সামলাতে পারেননি মোটরবাইকের চালক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওন্দা বাজারে হেলমেট বিহীন মোটরবাইক আরোহীদের ধরে জরিমানা করছিল ওন্দা থানার পুলিশ। ঘটনার সময়ে শান্তনু মোটরবাইকে তাঁর দুই আত্মীয়াকে নিয়ে বাঁকুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশের দাবি, তিন জনের কেউই হেলমেট পরে ছিলেন না। ওন্দা বাজার পার হওয়ার সময়ে সিভিক ভল্যান্টিয়াররা শান্তনুবাবুকে আটকাতে যান। শান্তনু মোটরবাইকের গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই পরিস্থিতিতে এক সিভিক ভল্যান্টিয়ার শান্তনুবাবুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। আর তাতেই বেসামাল হয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মোটরবাইকটির। ঘটনাস্থলেই তিন মোটরবাইক আরোহী ছিটকে পড়ে জখম হন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল পাঠায়।
ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ওন্দা বাজারে বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক সাময়িক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযুক্ত সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে ওন্দা থানাতেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দুর্ঘটনা এড়াতে ওন্দা বাজারে হেলমেট চেকিং করা চলবে না বলেও দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে ও বিক্ষোভ থামে। জেলার এক পুলিশ কর্তার কথায়, “সাধারণ মানুষের স্বার্থেই হেলমেট পরতে বলা হচ্ছে। হেলমেট না পরে মোটরবাইকে সওয়ার হওয়া আইনত অপরাধ।’’ তবে ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।