বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ক্লাস। ফাইল ছবি।
উপাচার্যকে ঘেরাও করে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তখনই ভর্তি এবং পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাই কোর্টের নির্দেশে উপচার্যকে ঘেরাও মুক্ত হতেই ভর্তি প্রক্রিয়া এবং পরীক্ষার ফলপ্রকাশের কাজ চলবে বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে ২৭ অগস্ট, শুক্রবার রাত থেকে উপাচার্যের বাড়ির সামনে আন্দোলনে বসেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। অধ্যাপক এবং স্থানীয় সংগঠন ছাড়াও একাধিক ছাত্র সংগঠন সমর্থন করেছে এই আন্দোলনকে। আন্দোলন চলাকালীন ৩০ সেপ্টেম্বর দু’টি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই পরীক্ষার ফল এবং ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিতের কথা জানানো হয়। সে সময়ই আন্দোলনকারীরা এর বিরোধিতা করেছিল। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, উপাচার্য ইচ্ছাকৃতভাবে এ রকম পদক্ষেপ করছেন। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে মেলও পাঠিয়েছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, উপাচার্যের বাসভবনের ৫০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে পারেন পড়ুয়ারা। তবে ক্যাম্পাস চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বা মাইকের মাধ্যমে আন্দোলনের প্রচারে বিধিনিষেধ আরোপ করে আদালত। আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করতে শুক্রবার বিকেলে উপাচার্যের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
আদালতের নির্দেশ মতো আন্দোলনকারীরা মঞ্চ বানান ৫০ মিটার দূরে। সেখানে বসেই আন্দোলন চালানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। শনিবার সেখানে মিছিল করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বাংলা পক্ষও সেখানে মিছিল করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।