প্রহরা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের আগে। বোলপুরে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, বুধবার বোলপুরে আসছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে আজ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার ইলামবাজারের কামারপাড়া মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন। সেখান থেকেই জয়দেবের বাউল ও লোক উৎসবের সূচনা-সহ এক গুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করার কথা রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার সারাদিন চলল সে-সবেরই প্রস্তুতি।
মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফরের জন্য কাঁকসায় বিকল্প হেলিপ্যাড তৈরি রেখেছে প্রশাসন। কাঁকসা ব্লক অফিস সংলগ্ন মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা হেলিপ্যাড পরিদর্শন করেন। আকাশপথে হেলিকপ্টার চক্কর মারে বেশ কয়েকবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য কোনও কারণে বোলপুরে হেলিকপ্টার নামায় সমস্যা হলে কাঁকসার হেলিপ্যাডটি ব্যবহার করা হতে পারে।
এ দিন বোলপুর জুড়ে আক্ষরিক অর্থেই চোখে পড়েছে ছিল সাজো সাজো রব। শহরের বিভিন্ন অংশে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে গেট তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি শহর কার্যত মুড়েছে তৃণমূলের দলীয় পতাকায়। কঠোর হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।
ইলামবাজারের তৃণমূল নেতৃত্ব এবং ব্যবসায়ী সমিতির আশা, প্রকল্প ঘোষণার ক্ষেত্রে তাঁদের এলাকা কিছু সুযোগ সুবিধা পাবে বলেই আশা রাখছেন তাঁরা। গত বছর জয়দেব মেলার আশ্রম কমিটির উপদেষ্টা কমিটির পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়েছিল মেলায় জল, আলো, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য দেওয়া টাকা মকুব করার জন্য। ওই আর্জি শুনেই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক ও মহকুমাশাসককে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী গত বছর জয়দেব মেলায় এই সব ক্ষেত্রে কোনও টাকা লাগেনি। উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি আপু লায়েক জানান, অস্থায়ী আশ্রমগুলিতে যাতে ছাউনির ব্যবস্থা করা যায়, এই বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এককালীন কিছু অর্থসাহায্যের আর্জি জানাবেন।
কিছুদিন আগেই জেলায় শেষ হয়েছে রাঙামাটি স্পোর্টস উৎসব। সেই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন এমন বাউলশিল্পী, ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড়দেরও ইলামবাজারের সভায় যাওয়ার কথা রয়েছে। বেশ কিছু স্কুলের পড়ুয়াদেরও পুরস্কৃত করা হবে সভা থেকে।