বোলপুরের আলবাঁধা হাইস্কুলের সভায় নালিশ জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। —বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
আলবাঁধা গ্রামের বাসিন্দা পার্বতী মাল। প্রায় এক বছর ধরে পান না মাসিক ৪০০ টাকার ভাতা। ফলে আটকা পড়েছে তাঁর শরীরের একটি অস্ত্রোপচারের কাজ।
বৃহস্পতিবার সর্পলেহনা-আলবাঁধা পঞ্চায়েতের আলবাঁধা উচ্চ বিদালয় চত্বরে পার্বতীদেবীর ওই অভিজ্ঞতার কথা জানা গেল ‘জনতার দরবারে হাজির প্রশাসন’ অনুষ্ঠানে। বাসিন্দাদের নানা সমস্যা দ্রুত সমাধানের ওই দরবার বসিয়েছিল প্রশাসন। ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। জাতিগত শংসাপত্র হাতে হাতে তুলে দেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বাসিন্দাদের জন্য সরকারের নানা সুবিধা সুযোগ, বিভিন্ন জন-কল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা এবং প্রাপকদের কোথায় সমস্যা, জিজ্ঞাসা নিয়েও সবিস্তারে আলোচনা হয় ওই অনুষ্ঠানে।
দরবারে জানা গেল, বিভূতি মালের বার্ধক্য ভাতাও কোনও এক অজানা কারণে এসে পৌঁছয় না হাতে। নোয়াডাঙাল কোঁড়াপাড়ার বাসিন্দা সোহাগি কোঁড়া, মাগারাম কোঁড়া, রাম কোঁড়া, বুধু কোঁড়াদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কিংবা গীতাঞ্জলি প্রকল্পের একটি বাড়ি তাঁদের খুবই প্রয়োজন। কেউদহ থেকে এসেছিলেন বুধিন কিস্কু। একটি স্বনির্ভর দল রয়েছে তাঁদের। আদিবাসী ও লোক সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করা ওই দলের কাছে নেই মাদল এবং নুপুর। ফলে কিছুটা হলেও, অনুষ্ঠান বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
তাঁদের কাছে সমস্যা শুনে সমাধানে স্বাস্থ্য বিভাগের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর, শ্রম দফতর, পঞ্চায়েত ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, বাধ্যক্য ভাতা ও সমাজ কল্যাণ দফতর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি প্রকল্প সহ একাধিক দফতর এবং আধিকারিকেরা হাজির ছিলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের লোক প্রসার প্রকল্পের জন্য যেমন আবেদন পত্র দেওয়া এবং জমা নেওয়া চলছে তেমনই শিল্পী পরিচয় পত্রধারীদের ভাত্তা, বিভিন্ন সুবিধা সুযোগ নিয়ে আগ্রহীদের জানাচ্ছেন আধিকারিক মহুয়া মল্লিক। শুধু মাত্র তাঁদের প্রাপ্যই নয়, বাসিন্দাদের অধিকার নিয়েও কথা বলেন বোলপুরের মহকুমা শাসক শম্পা হাজরা। নিজেদের অধিকার, প্রাপ্য, সুবিধা, অসুবিধা এবং জিজ্ঞাসা নিয়ে এগিয়ে এসে কথা বলার আহ্বান জানান জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। কৃষি এবং পঞ্চায়েত দফতরের নানা সুবিধা সুযোগ নিয়েও কথা বলেন আধিকারিকেরা।