শাটারস্টক থেকে নেওয়া প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার সহবাস করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর বিয়েতে অস্বীকার যুবকের। এমনই অভিযোগ উঠল বীরভূমের সিউড়ির আলুন্দা গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিউড়ি আদালতে বুধবার নাবালিকাকে বিয়ে করলেন ওই যুবক।
নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনা সামনে আসে মাস দুয়েক আগে। গত ৯ অক্টোবর সিউড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানে এই নাবালিকার পরিবারের তরফে ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। ওই নাবালিকা তখনই ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর পর অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়।
সম্প্রতি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নাবালিকা এবং তার গর্ভস্থ সন্তানের কথা ভেবে ফের এক বার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় যুবককে। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন ওই যুবক। ওই নাবালিকা এবং যুবকের বিয়ের বিষয়ে সম্মতি দেন সিউড়ি আদালতের বিচারকও। বুধবার তাঁদের বিয়ে হয়। তবে তার আগে অভিযুক্ত যুবককে ২ হাজার টাকার বন্ডে জামিন নিতে হয়।
ওই কিশোরীর বিয়ের বয়স নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সিউড়ি আদালতের আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মুসলিম বিবাহ আইন অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স থেকে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায়। সেই আইন মেনেই নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও সিউড়ি আদালতে বিয়ে হয়েছে তাঁদের।