—প্রতীকী চিত্র।
অন্য মহিলার সঙ্গে স্বামীর ‘ঘনিষ্ঠ’ মুহূর্তের ছবি পেয়েছিলেন এক যুবতী। অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় ওই যুবতীকে অ্যাসিড খাইয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করলেন স্বামী। খাওয়াতে না-পারলেও অ্যাসিডের ছেটায় মুখ ও হাতে ক্ষত হয়েছে ওই যুবতীর।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাড়ুই থানা এলাকার একটি গ্রামে। শুক্রবার লিখিত অভিযোগ করা হয় বছর ছাব্বিশের ওই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে। নির্যাতিতার স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’’
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে কীর্নাহার থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতীর বিয়ে হয় পাড়ুইয়ে। যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের বছরখানেক পর থেকেই একাধিক মহিলার সঙ্গে স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের খবর জানতে পারেন ওই যুবতী। এ নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত দম্পতির।
ওই যুবতীকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। লিখিত অভিযোগে পরিবার জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে স্বামীর পরকীয়ার প্রমাণ পান নির্যাতিতা। এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থার ছবি দেখতে পেয়ে তিনি শ্বশুর-শাশুড়িকে জানান। কিন্তু, লাভ হয়নি।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার যুবতীকে মারধরের পাশাপাশি ঘরে থাকা কার্বলিক অ্যাসিড খাওয়ানোর চেষ্টা করেন স্বামী। কোনও মতে স্বামীর হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যান ওই যুবতী। ধস্তাধস্তিতে ওই যুবতীর হাতে ও চোখের কাছে অ্যাসিড পড়ে জখম হয়। সারা রাত ঘর বন্ধ করে থাকার পরে পরের দিন সকালেই সন্তানদের নিয়ে নির্যাতিতা তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় তাঁর।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কয়েক জনের নামে পাড়ুই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শনিবার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। নির্যাতিতার ভাই বলেন, “আমরা চাই এই ঘটনায় দোষীরা কঠোর শাস্তি পাক।’’ অভিযুক্তদের পরিবারের কাউকে এ দিন এলাকায় দেখা যায়নি।